কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির শিকার হলে...

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০১৬, ০৪:৪৯ পিএম

কর্মক্ষেত্রে নারীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ নতুন সমস্যা নয়। নতুন এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ১৮-২৪ বছর বয়সী ৬৩ শতাংশ কর্মজীবী নারী কর্মক্ষেত্রে যৌন নিপীড়নের শিকার হন। তারা আপত্তিকর কথা, যৌনতাপূর্ণ কৌতুক এবং স্পর্শের মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার হন। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর করণীয় কি হতে পারে? সামলে নেয়ার যথাযথ উপায় কি হতে পারে?

ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের (টিইউসি) জেনারেল সেক্রেটারি ফ্রাঞ্চেস ও'গ্র্রাডি জানান, যৌন নির্যাতন ক্রমেই জেঁকে বসছে কর্মজীবী নারীর ওপর। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আক্রান্ত নারীরা লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে পড়েও এবং ভয় পেয়ে যান। প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্যাতনের শিকার ৭৯ শতাংশ নারী প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ বা চাকরিদাতাকে জানাবেন কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন।

টিইউসি-এর ইকুয়ালিটি অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি বিভাগের প্রধান অ্যালিস হুড জানান, চাকরিদাতা এ বিষয়ে আইনের মাধ্যমে পরিচালিত হবেন। নির্যাতনে জড়িতদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকতে হবে। বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন প্রতিষ্ঠানের যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করতে পারে। নারী কর্মীদের যৌন নিপীড়নের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষকে জিরো টলারেন্স গ্রহণ করতে হবে।

যৌন নির্যাতনের শিকার হলে সঙ্গে সঙ্গে এ বিষয়ে কি করবেন তা নিয়ে পরিষ্কার চিন্তা করুন। কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এবং আপনার অভিযোগ কিভাবে প্রকাশ করবেন তা নিয়ে লিখে রাখুন।

করণীয় : অ্যালিস হুড নির্যাতিতাকে পরামর্শ দিয়েছেন। এগুলো বেশ কার্যকর উপায় বলে মনে করেন তিনি।

১. নির্যাতনকারীকে নিষেধ করুন : যারা অশ্লীল কৌতুক বা দেহে স্পর্শের মাধ্যমে নির্যাতন করেন তাদের স্পষ্ট ভাষায় মানা করুন। বুঝিয়ে দিতে হবে যে, আপনি এই নির্যাতনের প্রতিবাদ করছেন এবং প্রয়োজনে পদক্ষেপ নেবেন। আর তাকে স্পষ্টভাবে ‘না’ করার সময় কোনো সহকর্মীকে সাথে রাখতে পারেন।

২. তথ্য রাখুন : কে কখন কিভাবে নির্যাতন করছে সে বিষয়ে পরিষ্কার তথ্য রাখুন। কর্তৃপক্ষ বা ইউনিয়নের কোনো রিপ্রেজেন্টেটিভের কাছে যাবতীয় তথ্যসহ অভিযোগ তুলে ধরতে হবে। আপনার এমন অভিজ্ঞতার শিকার অন্য কেউ হলে তারা এ নিয়ে কথা বলবেন কিনা তাও আলাপ করে নিন। স্পষ্টভাবে অভিযোগ করতে প্রয়োজনে বসের সহায়তা নিতে পারে।

৩. সিনিয়র কারো সঙ্গে কথা বলুন : যদি কোনো সহকর্মী এ কাজ করেন, তবে বিষয়টি বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে আলাপ করুন। যদি খোদ বস করেন, তবে তার সিনিয়র কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করুন। প্রয়োজনে আরেক বিভাগের প্রধানের কাছে জানান। প্র্রয়োজনে এইচআর বিভাগের সঙ্গেও কথা বলতে পারেন। সূত্র : হাফিংটন পোস্ট

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর