এক বছর বা ১০ বছরের দেখার ব্যবধান এখানে দূরত্ব তৈরি করতে পারে না। বন্ধু-একটি নির্ভরতার নাম, বন্ধু-চলার পথে সুখে-দুঃখে পাশে থাকা সম্পর্কের নাম। বন্ধুত্বে কোনো সীমারেখা নেই, নেই কোনো বাধ্যবাধকতা। বন্ধু শুধুই বন্ধু। আর এই বন্ধুত্বকে আরও প্রগাঢ় করতেই হয়তো সৃষ্টি হয়েছে বন্ধু দিবসের।
প্রতি বছর আগস্ট মাসের প্রথম রোববার পুরো বিশ্ব পালন করে থাকে এই বন্ধু দিবস। যখন আকাশের ঘন কালো আঁধার করা মেঘের রাজ্যে ডানা ঝাঁপটাতে পাখির আর ভালো লাগে না, তখন তৃর্ষ্ণার্ত পায়েল পরা পাখির খুব সাধ জাগে রিমঝিম বৃষ্টির গানের সুরে ভিজতে কিংবা অপলক দেখতে রোদ্দুর হাসি। বৃষ্টি, রংধনু কিংবা রোদ নামধারী ওরা সবাই আসলে পাখির বন্ধু, কখনও বা আঁধার করা মেঘও। ‘বন্ধু’ হলো এমনই একটা স্বচছ আয়না যাকে বলতে হয় না, বোঝাতে হয় না, অনুরোধ করতে হয় না কিংবা প্রয়োজন হয় না উপদেশ দিয়ে মনের কথা প্রকাশ করার। পারস্পরিক সমঝোতা, শ্রদ্ধাবোধ এবং ভালোবাসার অগাধ বিশ্বাসের সেতুবন্ধন হলো বন্ধুত্ব।
বন্ধুত্বের দুয়ার এতটাই বিশাল যে, বয়স, ধর্ম, গোত্র হিংসা, স্বার্থপরতা, লোভ, সব কিছুর উর্ধ্বে পবিত্র এই সম্পর্ক হয়ে থাকে বাবা- মায়ের সাথে, ভাই-বোনের সাথে, সহপাঠীর সাথে, সহকর্মীর সাথে, বিশ্বের অন্য প্রান্তে না দেখা কারও সাথে। বন্ধুত্ব আকাশের মতোই অসীম, যে সম্পর্কে কোনো স্বার্থপরতা কাজ করে না, সে তো সাগরের ঢেউয়ের মতো উচ্ছ্বল যার কাছে গেলে সব কষ্ট ধুয়ে যায়।বছরের এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে পারেন বন্ধুরা সবাই মিলে। দেখা করুন সবার সাথে, আড্ডা দিন প্রাণ খুলে। ছোট কিছু উপহারও রাখা যেতে পারে সবার জন্য। বন্ধুদের জন্য শুভকামনা সব সময়ের।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই