সোনালীনিউজ ডেস্ক
শীতে শুধু শরীরের ওপরই নয়, চোখের ওপরও এর প্রভাব পড়ে। এ সময় চোখের আদ্রতা কমে যাওয়াটা খুবই সাধারণ ব্যাপার। এর অন্যতম কারণ হল চোখের আদ্রতা রক্ষায় যতটুকু অশ্রু তৈরি হওয়া দরকার তা হয় না।
চোখের তৈলাক্ত ভাবও কমে যায়। একটু বয়স হলে এই সমস্যা বেশি হয়। তবে অল্প বয়স্কদেরও সমস্যাটি দেখা দিতে পারে। তাই চোখের সুস্থতা নিশ্চিত করতে সচেতন হওয়া জরুরি। শীতের সময় চোখে যতটুকু অশ্রু তৈরি হয়, শুষ্ক আবহাওয়ায় তা উড়ে যায় তাড়াতাড়ি।
এছাড়া বাতাসে ধুলাবালি এবং ঝড়ো হাওয়া বেশি থাকে। গাড়ির ধোয়া, সিগারেটের ধোয়ার কারেণেও চোখের পানির আদ্রতা কমে যেতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া চোখের পানি শুকানোর অন্যতম কারণ। শরীরে ভিটামিন ‘এ’ এর ঘাটতি ও অন্য অসুখের কারণেও চোখের চারপাশের ত্বকে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
এতে চোখ জ্বালা-পোড়া, চুলকানি, ঘুম ঘুম ভাব হওয়া, চোখের চারপাশ ফুলে যাওয়া, আলোতে তাকাতে সমস্যা, চোখের পাতার পাপড়ির গোড়ায় খুশকি হওয়া, চোখের চারপাশের চামড়ায় টানটান ভাব হওয়া সহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। কখনো আবার মনে হতে পারে চোখে কিছু একটা পড়ছে।
এ বিষয়ে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট এর চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. একে আজাদ বলেন, চোখের আদ্রতা শুধু ধুলাবালি থেকেই রক্ষা করে না চোখের যন্ত্রনাও উপশম করে। চোখের কর্নিয়ায় অক্সিজেনের যোগান দেয়। যেকোন সংক্রামক রোগ থেকে রক্ষা করে। তাই চোখের আদ্রতা রক্ষা করা জরুরি।
তিনি আরও বলেন, শীতের এই মৌসুমে চোখের আদ্রতা কমে যাওয়ার সমস্যা বা ব্লেফারাইটিস বেশি দেখা দেয়। চোখের এই সমস্যা এক সপ্তাহ হয়ে গেলে অবশ্যই চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
সচেতনতা –
সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন