যে পানীয় পানে ওজন কমবে ৩০ দিনে!

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ৩০, ২০১৭, ০২:৪৪ পিএম

ঢাকা : আমরা সকলেই সুন্দর হতে চাই, সুস্থ থাকতে চাই। কিন্তু নিত্য নিয়ম, সময়ের স্বল্পতা, আমাদের আলস্য, অনীহা সব মিলিয়ে নিজের পরিচর্যা করাটা সব সময় হয়ে উঠে না। কিন্তু নিজেকে ফিট রাখাটা একান্ত জরুরি।

বাড়তি ওজন শুধু আপনার দৈহিক সৌন্দর্যকেই নষ্ট করে না বরং বিভিন্ন রোগের আশঙ্কাকেও বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে নিজের মতো করে নিজেকে উপস্থাপন করাটাও একটি শৈল্পিক বিষয়। তাই নিজেকে সুন্দর রাখতে সব সময়ই দরকার নিজের ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা।

হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়া মোটেই ভালো লক্ষণ নয়। এতে নিজের সৌন্দর্য যেমন নষ্ট হয়, তেমন শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করে  জটিল সব রোগ। আর ব্যস্ত জীবনে শরীরচর্চা ও সঠিকভাবে ডায়ের্ট চার্ট মেনে চলাও আপনার পক্ষে কষ্টকর।

এতে সামাজিক এবং মানসিক, সব দিক থেকেই জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। আর এমন জীবন নিশ্চয় আপনি চান না! তাহলে এখন?

তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এ সমস্যা সমাধানে একটি আয়ুর্বেদিক পানীয়ের কথা বলেছেন।
তারা দাবি করেছেন, এ পানীয়টি প্রতিদিন রাতের খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট পরে টানা ১ মাস  পান করলেই আপনার ওজন কমবে চোখে পড়ার মতো। আর এটি বানাতেও তেমন একটা কষ্ট হয় না।

তাহলে অপেক্ষা কিসের। চলুন জেনে নেয়া যাক ওই ঘরোয়া ওষুধ তৈরির প্রস্তুত প্রণালী।

বিস্তারিত নিম্নে দেয়া হলো-

উপকরণ : পানি- ১ গ্লাস, ধনেপাতা ১ কাপ, লেবুর রস ১ টেবিল চামুচ, ভিনিগার ১ চা চামুচ, আদা কুচোনো ১ চা চামচ, দারুচিনি পাউডার ১ চা চামচ।

প্রস্তুত প্রণালী: উপরের সব উপকরণ ব্লেন্ডারে ভালো করে ব্লান্ড করুন। তবে পানীয়টি যেন বেশি ঘন না হয়ে যায়। ঘন হলে একটু পানি মিশিয়ে নিন।

ওষুধটি খাওয়ার নিয়ম: এটি রাতের খাওয়া শেষ করার ৩০ মিনিট পরে পান করতে হবে। টানা কয়েকদিন খাওয়ার পরেই দেখবেন ওজন হ্রাস হতে শুরু করেছে!

উপকার: ধনে পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। ফলে এক কাপ ধনে শাক খেলেই পেট ভরে যায়। তেমনি শরীরও চাঙ্গা হয়ে ওঠে। এক কথায় বলা যেতে পারে ফাইবার কোনো একটা কাজে নয়, বরং একই সঙ্গে নানাভাবে শরীরের উপকারে আসে।

এক কাপ পার্সলে শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে এবং আয়রণ, যা শরীরে প্রদাহ বা জ্বালা কমানোর পাশাপাশি রক্তকে পরিশুদ্ধ করতে এবং শরীরে পানি জমা আটকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

ধনে পাতা শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি কিডনিকে সুস্থ রাখে। ব্লাডার ইনফেকশনও কমায় এ শাকটি। এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা স্ট্রেস লেভেল কমানোর পাশাপাশি একাধিক রোগের হাত থেকেও রক্ষা করে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই