জেনে রাখুন ওজন কমানোর উপায়

  • সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৬, ০৫:১২ পিএম

সোনালীনিউজ ডেস্ক

শরীরের ওজন ঠিক রাখা সুস্বাস্থ্যের জন্য অতি প্রয়োজনীয়। আপনার ওজন যদি হয় বেশি, তাহলে তা কমিয়ে ফেলার বিকল্প নেই। তাড়াহুড়া করে ওজন কমাতে গিয়ে অনেকেই বিপদের মুখোমুখি হন। তাই এ লেখায় দেওয়া ২০টি উপায় অনুসরণ করে ঝরিয়ে ফেলুন আপনার দেহের বাড়তি ওজন।

১. নিজের খাবার নিজেই বানান-
আপনার রান্নার হাত ভালো নয়? তার পরেও নিজের হাতে স্বাস্থ্যকর খাবার রান্নার কয়েকটি রেসিপি শিখে নিন।

২. অনুশীলনের ডিভিডি সংগ্রহ করুন-
শারীরিক অনুশীলনের নানা উপায় এখন ডিভিডিতেই পাওয়া যায়। এ ধরনের ডিভিডি সংগ্রহ করে তা দেখে দেখে অনুশীলন করলে যথেষ্ট উপকার পাবেন।

৩. সার্ভিস সাইজ শিখে নিন-
খাবার গ্রহণ মানেই থালা ভর্তি করে খেতে হবে, এমন ধারণা বাদ দিন। ছোট পাত্রে করে সামান্য খাবার গ্রহণ করুন।

৪. আগের ও পরের ছবি তুলুন-
আপনার ওজন বিষয়ে সচেতন হওয়ার আগের ও পরের ছবি তুলুন। উভয় ছবির তুলনা করুন।

৫. নাচ-
নাচ ভালো একটি শারীরিক অনুশীলন। এর মাধ্যমে ওজন কমানো সম্ভব।

৬. খাবারের ভালোমন্দ শিখে নিন-
কোন খাবারটি আপনার শরীরের জন্য ভালো এবং কোন খাবারটি খারাপ তা শিখে নিন। এরপর সে অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন।

৭. অনুশীলনে বৈচিত্রতা আনুন-
আপনার শারীরিক অনুশীলন যদি একঘেয়ে হয়ে যায় তাহলে তা কোনো কাজ করবে না। এ কারণে শারীরিক অনুশীলনে বৈচিত্রতা আনতে হবে।

৮. কল্পনা করুন-
আপনার শারীরকে যেমন বানাতে চান, সে অবস্থার কথা কল্পনা করুন। এতে আপনার আগ্রহ তৈরি হবে।

৯. আঁশজাতীয় খাবার খান-
আঁশজাতীয় খাবার পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখাসহ নানা উপকার করে। শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এ ধরনের খাবার বেশি করে খেলে তা ওজন কমাতেও সাহায্য করবে।

১০. হাঁটুন বা সাইকেল চালান-
যান্ত্রিক শক্তিচালিত যানবাহনের বদলে হাঁটা বা সাইকেল চালানো অভ্যাস করুন।

১১. বাস্তববাদী হোন-
ওজন কমানোর বিষয়ে বাস্তববাদী হতে হবে। মাত্র কয়েকদিন অনুশীলন করেই আপনি শরীর অর্ধেক কমিয়ে ফেলতে পারবেন না। এক্ষেত্রে মাসে প্রায় ১০ পাউন্ড ওজন কমানো সম্ভব।

১২. প্রোটিন বাদ দেবেন না-
ডিম, মাংস, মাছ ইত্যাদি প্রোটিনের অন্যতম উৎস। ওজন কমানোর সময়েও এসব খাবার শরীরের প্রয়োজন। তবে আপনি যদি নিরামিশাষী হন তাহলে পুষ্টিবিদের সাহায্য নিয়ে অনুরূপ পুষ্টিকর খাবার বাছাই করতে পারেন।

১৩. অনুশীলনের সময় শ্বাস নিতে ভুলবেন না-
শারীরিক অনুশীলন করার সময় শ্বাস প্রশ্বাস কমাবেন না। বেশি করে অক্সিজেন গ্রহণ করুন।

১৪. পাউরুটি বাদ-
আপনার খাদ্যতালিকা থেকে পাউরুটি বাদ দিন।

১৫. নিয়মিত মাপ নিন-
অনুশীলনের ফলে আপনার শরীরের যে পরিবর্তন হচ্ছে, সে বিষয়ে নিয়মিত দৃষ্টি রাখুন। এজন্য হাতের কাছে এটি টেপ রাখুন।

১৬. কাজের পর বিশ্রাম নিন-
কাজের পর আপনার মাংসপেশিগুলোর বিশ্রাম প্রয়োজন। তাই বিশ্রামের জন্য প্রয়োজনীয় সময় বরাদ্দ করুন।

১৭. সালাদ ড্রেসিং বাদ দিন-
সালাদ খুবই স্বাস্থ্যকর খাবার। কিন্তু এতে ড্রেসিং ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

১৮. প্রক্রিয়াজাতকৃত খাবার নয়-
শিল্পকারখানায় প্রক্রিয়াজাতকৃত খাবার বাদ দিন। তার বদলে স্বাস্থ্যকর তাজা ফলমূল ও খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন।

১৯. ক্র্যাশ ডায়েট নয়-
ওজন কমানোর জন্য তাড়াহুড়া করে ক্র্যাশ ডায়েট বাদ দিন। এতে আপনার শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।

২০. আবেগগত খাবার বাদ দিন-
শারীরিক প্রয়োজনে ক্ষুধা নিবৃত্ত করতে খাবার খান। তার বদলে মানসিক সন্তুষ্টির জন্য, লোভের বশে কিংবা খাবারের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে বাড়তি খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন