এই চার কৌশলে ২০ ঘণ্টায় যা খুশি শেখাতে পারবেন

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০১৮, ১২:৫০ পিএম

ঢাকা: ধরুন, আপনাকে যদি কোনো কিছু শিখতে দেয়া হয়। আর সময় বেঁধে দেয়া হয় মাত্র ২০ ঘণ্টা। আর বলা হয় আপনার যা ইচ্ছা তাই শিখুন। তাহলে আপনি কী শিখবেন? ক্রিকেট? ফুটবল নাকি নাচ অথবা ভাষা?

শিক্ষার যেকোনো ক্ষেত্রে দখল নিতে লাগে প্রায় ১০ হাজার ঘণ্টা। কিন্তু বুদ্ধি খাটিয়ে চেষ্টা করলে সেই বিষয়ে ভালো করতে লাগবে মাত্র ২০ ঘণ্টা। অর্থাৎ প্রতিদিন মাত্র ৪৫ মিনিট করে চেষ্টা করলেই কোনো কিছু শিখতে লাগবে মাত্র এক মাস। পাঠকের সুবিধার্থে কম সময়ে শেখার চারটি কৌশল তুলে ধরা হলো :

সমগ্র বিষয়টিকে ছোট ছোট করে ভাগ করে ফেলুন: বেশির ভাগ সময় আমরা বিষয়গুলোকে একটি বা সামগ্রিকভাবে ভাবি। কিন্তু আসলে সেগুলো অনেক সমস্যা বা দক্ষতার সমষ্টি। তাই কোনো বিষয়কে শিখতে হলে প্রথমেই তাঁকে ছোট ছোট অংশে বিভক্ত করে ফেলতে হবে। তারপর ঠিক করতে হবে বিষয়টি শিখতে গেলে প্রাথমিক গুরুত্বপূর্ণ অংশ কোনগুলো। তারপর ধাপে ধাপে আয়ত্ত করে গেলে পুরো বিষয়টির জন্য খুব কম সময় লাগবে। যেমন, কোনো বিদেশি ভাষা শিখতে গেলে কঠিন লাগবে। কিন্তু শব্দ দিয়ে শেখা শুরু করলে খুব দ্রুতই ফল পাওয়া যাবে। 

আত্মশুদ্ধি: চোখের পলকে শিখে যাওয়া বিষয়ের চাইতে  ভুল করে শেখা বিষয় স্থায়ী হয় বেশি। তবে এর জন্য নিজেকে শোধরানোর প্রয়োজন। কোনো কিছু শিখতে গিয়ে বেশ কয়েকটি উৎস ঘেঁটে নিশ্চিত হতে হবে। তবে এটা যেন কোনোভাবেই অনুশীলনে গড়িমসি করার জন্য না হয়। নিজের ভুলগুলো সংশোধন করতে কিংবা ব্যতিক্রমী কিছু করতে গেলেই এটা করা যেতে পারে।

অনুশীলনের পথে বাধাগুলো দূর করুন: শিখতে গিয়ে বা অনুশীলন করতে গিয়ে যা কিছু বাধা হয়ে দাঁড়াবে সেগুলো দূর করতে হবে। শিক্ষণের প্রথমেই এগুলো দূর করে না নিলে মাঝপথে এগুলো বাধা সৃষ্টি করবে। তখন সমাধান করতে গেলেও মনোযোগ নষ্ট হয়। তাই অনুশীলন করতে গেলে কী কী প্রয়োজন হতে পারে বা কী কী সমস্যা হতে পারে, তা বের করে  সমাধান করে নিতে হবে।

যেমন, অনলাইনভিত্তিক কোনো কাজ শিখতে গিয়ে ইন্টারনেট, কম্পিউটার, মডেমসহ বেশ কিছু জিনিস লাগতে পারে। সবকিছু না থাকলেই শিক্ষণের পথে বাধা সৃষ্টি হবে।

চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে কমপক্ষে ২০ ঘণ্টা: কমপক্ষে ২০ ঘণ্টা চেষ্টা করতে হবে কোনো কিছু শিখতে। প্রতিদিন ৪৫ মিনিট করে চেষ্টা করুন, মাস শেষে একটা ফল পাবেন। প্রতিদিনের ছোট শিক্ষাগুলোর দিকে লক্ষ্য রাখুন। বালুকণার মতো এই ছোট শিক্ষাগুলোই দিনশেষে বিশাল হয়ে দাঁড়াবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই