উপচেপড়া ভিড়, বিরক্তির ছাপ নেই বইপ্রেমীদের চোখে

  • সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৬, ০৬:৪৪ পিএম

সোনালীনিউজ ডেস্ক

টিএসসি গেট থেকে সারি সারি যে লোকপথ তৈরি হয়েছে, অন্যদিকে বিপরীত পার্শ্বে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ছুঁয়ে নদীর মতো যে মানুষের ঢল বেঁকে গেছে সেটা সিরিয়ার কোনো শরণার্থী শিবির নয়; এটি অমর একুশে বইমেলার টানে ছুটে আসা বইপ্রেমীদের লাইন। শনিবার মেলায় রাস্তার দুই পাশে এভাবেই জনস্রোত চোখে পড়লো। বিশাল লাইনে দাঁড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে বইপ্রেমীরা ঢুকেছেন মেলায়। তবুও তাদের মুখে নেই বিরক্তির কোনো ছাপ।

প্রাইভেট একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন শুকরান আলী। লাইনের বিশৃঙ্খলার কথা উল্লেখ করে বলেন, সেই কখন দাঁড়িয়ে আছি। কেউ না কেউ গেটের কাছে গিয়ে লাইন ক্রস করে চলে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখের সামনেই এমনটা হচ্ছে, কখন যে মূল প্রান্তে যাবো ভেবে পাচ্ছি না।

বইমেলা একপাশে করার দাবি জানিয়ে শুকরান বলেন, পুরো মেলাটা যদি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করা যেত তাহলে ঘোরাঘুরি কম হতো। এখন পছন্দের সব বই একপাশ থেকে কিনতে পারলেও একটি বইয়ের জন্য বাংলা একাডেমি প্রান্তে যেতে হয়। আর এরজন্য ধরতে হয় দীর্ঘ লাইন।

লাইনে দাঁড়ানো মিরপুর থেকে আসা মাহবুব করিম বলেন, ভালো লাগছে এতবড় লাইন দেখে। শুক্রবার ভিড় হবে জেনেও এলাম। কারণ ঢিলেঢালা মেলার চেয়ে সবার উপস্থিতিতে বইকেনা ও ঘুরে দেখার মজাই আলাদা।

এরমধ্যে নুরুদ্দদিনের অন্তরের দহন জ্বালা, আহসান মালেকের মেঘের সাথে এ মন মাতে, উর্মী রহমানের সাদা ঘোড়া, হাফিজ আল ফারুকীর বসন্তের এই মাতাল সমীরনে, শেখ আব্দুল হাকীমের সার্কাস, অপরেশ বন্দোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক বিজ্ঞান, ভজন সরকারের রেড ইন্ডিয়ানদের সাথে বসবাস, এরশাদ হুসাইনের বৃষ্টির মুখোমুখি, সাহিদের লাশকাটা ঘর ও প্রিন্স আশরাফের এক ডজন রহস্য গল্পসহ বিভিন্ন বই।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন