বই মেলা প্রতিদিন

না থেকেও আছেন হুমায়ূন আহমেদ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৮, ১১:০৫ এএম

ঢাকা : নন্দিত ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদ না ফেরার দেশে চলে গেছেন ছয় বছর হতে চলল। এই সময়ের মধ্যে এতটুকু বদলায়নি চিত্র। মানুষ এখনো তাকে খুঁজছে। তার লেখা বই কিনছে। গ্রন্থমেলায় না থেকেও আছেন হুমায়ূন আহমেদ। এখন পর্যন্ত মেলায় যে টুকটাক ভিড় হচ্ছে, তার বেশিরভাগই হুমায়ূন আহমেদের বই প্রকাশকারী প্রতিষ্ঠানের স্টল ও প্যাভিলিয়নে।

বাংলা সাহিত্যের পাঠকদের কলকাতামুখিতা প্রায় একাই দূর করেছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। সমস্ত বাংলাভাষীর মধ্যে তৈরি করেছিলেন বিশাল পাঠকগোষ্ঠী। তার গল্প বলার ঢঙে মুগ্ধ পাঠকেরা হুমায়ূন আহমেদকে মৃত্যুর আগেই বসিয়েছিল রাজার আসনে। সেই আসনে বসে এখনো শাসন করে যাচ্ছেন তিনি!

হুমায়ূন আহমেদের বই সবচেয়ে বেশি প্রকাশ করেছে অন্যপ্রকাশ। সে কারণেই মেলার শুরু থেকেই তাদের প্যাভিলিয়নে পাঠক সমাগম বেশ। অন্যপ্রকাশের মেলা ইনচার্জ সানাউল কবির চৌধুরী কিরণ জানান, তাদের স্টলে যত বই এখন বিক্রি হচ্ছে তার প্রায় ৮০ শতাংশই হুমায়ূন আহমেদের। এর কারণ জানতে চাইলে কিরণ বলেন, সব বই-ই মানুষ কিনছে। লেখকের প্রথম দিকে প্রকাশিত অনেক উপন্যাস খোঁজ করছে পাঠক। এর বাইরে রচনাসমগ্রের প্রতি পাঠকের আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।

হুমায়ূন আহমেদের লেখা সায়েন্স ফিকশনের প্রতি পাঠকের তুমুল আগ্রহ জানিয়ে কাকলী প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী রায়হান বলেন, হুমায়ূন আহমেদের সব ধরনের বইয়ের প্রতি পাঠকের আগ্রহ আছে।

হঠাৎ কড়া নিরাপত্তা : নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা সদস্যদের প্রথম ছয় দিন খুব বেশি তৎপর মনে না হলেও গতকাল তারা ছিলেন কঠোর। এজন্য মেলায় পাঠক-দর্শনার্থীকে ঢুকতে হয়রানির সম্মুখীন হতে হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। মেলার বিভিন্ন পয়েন্টে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল কঠোর থাকার জন্য তাদের ওপর বিশেষ নির্দেশ ছিল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ সদস্য বলেন, ‘ওপরের নির্দেশ আছে। কাল (আজ) খালেদা জিয়ার রায়। সে কারণে নিরাপত্তার প্রশ্নে আমাদের অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে হচ্ছে।’

নতুন বই : বাংলা একাডেমির দেওয়া তথ্যমতে, গতকাল সপ্তম দিন মেলায় নতুন বই এসেছে ১৯০টি। ২৩টি গল্প, ৪১টি উপন্যাস, ৭টি প্রবন্ধ, ৬৪টি কবিতাসহ অন্যান্য বই ৫৫টি। এর মধ্যে রকিব হাসানের গোয়েন্দা কাহিনী ‘কিশোর মূসা রবিন-৩’ (শিকড়), নাসরীন জাহানের গল্পগ্রন্থ ‘শ্রেষ্ঠ গল্প’ (আগামী প্রকাশনী), আহমদ রফিকের প্রবন্ধ ‘সংস্কৃতি কথা যুক্তিবাদ মুক্তচিন্তা (অনিন্দ্য প্রকাশ), খিলখিল কাজী রাশেদুল আনামের কাব্যগ্রন্থ ‘কাজী নজরুল ইসলামের পঞ্চকাব্য’ (জোনাকী প্রকাশনী), নির্মলেন্দু গুণের কাব্যগ্রন্থ ‘প্রথম তিন’ (কবি প্রকাশনী), দন্ত্যস রওশনের কিশোর উপন্যাস ‘সারপ্রাইজ’ (অনন্যা), আলী ইমামের কিশোর গল্প ‘গল্পগুলো পাশের দেশের’ উলে­খযোগ্য।

আজকের অনুষ্ঠান : আজ বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) অষ্টম দিন বিকাল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘এবিএম হবিবুল্লাহ : মমতাজুর রহমান তরফদার চৌধুরী’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন আকবর আলি খান এবং মেসবাহ কামাল। আলোচনায় অংশ নেবেন অজয় রায়, ফিরোজ মাহমুদ, এম আসহাবুর রহমান। সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক পারভীন হাসান। সন্ধ্যায় রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

সোনালীনিউজ/এমটিআই