অংকঘর

  • সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০১৬, ০৬:০৫ পিএম

মোমিন মেহেদী


ভরা বৈশাখে ঘাসফুল গহনা গড়েছি; সাজিয়েছি তাকে।
সে আমার ঘাসফুল বউ। ঘাসফুল গজনা
দিয়ে সাজতেই পছন্দ তার। ছুটে এসেছিল
একদিন ভোরে; কাঠে কাঠে জোড়াতালি
সাধারণ দোরে। হাতের টোকায় বুঝি
এসেছিল কে, অত:পর দোর খুলে
ভালোবাসা মেলে দেই। স্বপ্ন পাওয়ার
সাধে কষ্টকে ফেলে দেই।

দু’জনে বেঁধেছে ঘর; বুনেছি শান্তিবীজ।
সেই বীজ বৃক্ষ হওয়ার আগে বিরহ পোকায়
খেয়ে শেষ করে মগডালে। হতাশাকে
ঝেড়ে ফেলি। বিলুপ্ত সংশয়
সাহসের সাথে সুখ মুখ দেখে বউ।

ঘাসফুল দেখলেই ফিরে যাই জীবনের
নামতায়। নামতাটা বড় বেশি প্রিয় তাই
ডুবে যাই নামতায়।
ডুবে যাই কষ্টের বর্নমালায়
ঘাসফুল বউ আজ বাঁশফুল দেখে তার পিছে পিছে ছোটে; আমি সেই একাকী
সন্ধ্যায় অথবা সকালে গুনি অংকের ঘর...।

পিতাচ্ছন্ন পৃথিবীর এই ভুখন্ডে
ঘুলঘুলির চড়–ই থেকে আজকের শেখ হাসিনা
অথবা খালেদা জিয়া। প্রতিটি পবই দেয়াল বন্দী
সময়ের জন্ম দেয়। স্বাধীনতা বুনেছিল
কেবলমাত্র জাতির জনকেরা। আমি মনে করি
প্রতিটি  যোদ্ধাহাত এক একজন পিতার হাত;
সেই সূত্রে আমাদের আছে অজস্র পিতা।

জাতির পিতাচ্ছন্ন পৃথিবীর এই ভুখন্ডে
গড়ে তুলতে হবে হাওয়ার ভুলমুক্ত
গন্ধম মুক্ত সময়। যে সময় নিয়ে আসবে
হানাহানিহীন শুদ্ধ সময়। এই সময়ের
দরোজায় জমে উঠবে অন্যরকম উৎসব।
এই উৎসবে স্বাধীনতার পূর্নজন্ম, অধিকারের
রাস্তা প্রসারিত হবে আগামীর
জন্য। আমাদের আগামী হবে
বিনয়ী সকাল; বাবুইয়ের বিবেকবোধ।

নিবির জ্যোৎন্ড দেখে কাটবে সময়
মায়াবী আলোয়। সেই আলো আনতে
সাহসী হই; হয়ে উঠি কর্ণেল তাহের,
হয়ে উঠি মেজর জলিল, হয়ে
উঠি জেল হত্যাকান্ডের শিকার তাজউদ্দিন,
মনসুর আহম্মদ, নজরুল ইসলাম প্রমুখ...


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন