চিরনিদ্রায় শায়িত কবি আল মাহমুদ

  • ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯, ০৫:৪০ পিএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদকে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বাদ জোহর শেষ জানাজা শেষে কবির মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোরাইল গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এর আগে শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আল মাহমুদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর বায়তুল মোকাররমে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

কবি আল মাহমুদ শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে রাজধানীর ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে নেয়া হয়। পাঁচ দিন নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে থাকার পর শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে তার অবস্থার অবনতি হতে শুরু করলে চিকিৎসকেরা তাকে লাইফ সাপোর্ট দেন। রাত ১১টা ৫ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

তার আগে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কবির মরদেহ নেয়া হয় বাংলা একাডেমিতে। সেখানে একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী কবির মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পাওয়ায় সোনালি কাবিনের এই কবিকে শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হয়নি। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার পর বার্ধক্যজনিত কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কবি আল মাহমুদ। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।

কবি আল মাহমুদের পুরো নাম মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ। ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার মোড়াইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মীর আবদুর রব ও মাতার নাম রওশন আরা মীর। তার দাদা আবদুল ওহাব মোল্লা হবিগঞ্জ জেলায় জমিদার ছিলেন। আল মাহমুদ শুধু আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি নন, তিনি একাধারে ছিলেন ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্প লেখক, শিশুসাহিত্যিক এবং সাংবাদিক।

সাহিত্যে অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় সম্মান একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার, শিশু একাডেমি (অগ্রণী ব্যাংক) পুরস্কার, ফররুখ স্মৃতি পুরস্কার, জীবনানন্দ দাশ স্মৃতি পুরস্কারসহ বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন এই কবি। লোক লোকান্তর (১৯৬৩) কালের কলস (১৯৬৬), সোনালী কাবিন (১৯৬৬) ইত্যাদি আল মাহমুদের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম