প্রকাশ হয়নি দৈনিক জনকণ্ঠ, আজও অবরুদ্ধ সম্পাদক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৩, ২০১৮, ০১:২৮ পিএম

ঢাকা: ২৬ মাসের বকেয়া বেতন ও ভাতা পরিশোধের দাবিতে রাজধানীর নিউ ইস্কাটন রোডের জনকণ্ঠ ভবনে দৈনিকটির মালিকপক্ষ ও সম্পাদককে রোববার (২৩ ডিসেম্বর) দ্বিতীয় দিনের মতো অবরুদ্ধ করে রেখেছেন শতাধিক কর্মী।

কর্মীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে জনকণ্ঠ ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতারা। অবরোধের কারণে আজ পত্রিকাটির প্রিন্ট সংস্করণ বের হয়নি।

এর আগে বকেয়া বেতনের দাবিতে শনিবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকে অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আসছে কর্মীরা।

রোববার সকালে জনকণ্ঠ ভবনে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের মূল ফটকে তালা মারা। সবাই ভবনের নিচতলায় সিঁড়িপথের নিচে অবস্থান নিয়েছেন। নবম তলায় অবরুদ্ধ হয়ে আছেন জনকণ্ঠের সম্পাদক আতিকুল্লাহ খান মাসুদ। ২৬ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে তাদের এই আন্দোলন বলে জানিয়েছেন কর্মীরা।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দৈনিক জনকণ্ঠের ইউনিট চিফ রাজন ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা রাত থেকে এখানে অবস্থান করছি। রাতে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতারা মালিক ও সম্পাদক আতিকুল্লাহ খানের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন, তবে প্রথমে তার কক্ষে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরে নেতারা সম্পাদকের সঙ্গে দেখা করেছেন। বকেয়া বেতন ভাতা কবে পরিশোধ করা হবে জানতে চাইলে - তিনি একেক সময় একেক কথা বলেন। কখনও বলেন ৩১ ডিসেম্বর আবার বলেন টাকা হলে দেবেন। আমরা তার কাছ থেকে কোনও বিশ্বাসযোগ্য আশ্বাস পাইনি এখনও।’

তিনি আরও বলেন, ‘নেতারা মালিক পক্ষের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় একটি চুক্তির জন্য প্রস্তাব দিয়েছিল। চুক্তিতে মালিক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও জনকণ্ঠের সাংবাদিক কর্মচারী পক্ষ হবেন। কিন্তু সম্পাদক তা মানেননি। তিনি কোনও লিখিত চুক্তি করতে রাজি হননি।’

রাজন ভট্টাচার্য বলেন, ‘সম্পাদক এখনও তার কক্ষেই আছেন। আমরা ভবনের নিচের প্লাজায় অবস্থান নিয়ে আছি, আমাদের সঙ্গে সাংবাদিক নেতারাও আছেন।’

এ প্রসঙ্গে সম্পাদক আতিকুল্লাহ খান বলেন, ‘আমি তাদের আগেও বলেছি, ৩১ ডিসেম্বররের মধ্যে বকেয়া পাওনা পরিশোধ করা হবে। কিন্তু তারা তা মানছেন না। তারা চাচ্ছেন ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে পাওনা পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু ডিসেম্বর মাসতো শেষ হয়ে যাচ্ছে না।’

ত্রিপক্ষীয় চুক্তির বিষয় তিনি বলেন, ‘তারা চুক্তি করে আমার সব সম্পত্তি লিখে নিতে চায়, তাদের কোনও ধমক দেওয়া যাবে না, তারা ইচ্ছামতো অফিসে আসবেন-যাবেন, কিছু বলা যাবে না। আমি সে চুক্তি করবো কেন?’

সম্পাদক আতিকুল্লাহ খান বলেন, ‘আমি গতকাল রাত থেকে না খেয়ে আছি। খাবার ঢুকতে দিচ্ছে না, আমাকে বের হতে হতে দিচ্ছে না। আমি আমরা রুমেই আছি।’


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন