বাচ্চা একটা ছেলে ২১ বছর বয়স, কী অমানবিক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০১৯, ০৭:৫৩ পিএম

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি তো বলেছি, ঘটনা সঙ্গে জড়িত কোথায় কে ছিল, সব কয়টাকে গ্রেফতার করতে। তবে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করার পর শিক্ষার্থীরা সেটা আনতে দেবে না। আমার মনে প্রশ্ন দেখা দিল, এটা কেন? হত্যাকারীদের কেউ কি এর মধ্যে আছে যে ফুটেজ প্রকাশিত হলে তাদের পরিচয় বের হয়ে যাবে কি না। পরে তারা ফুটেজ নিয়ে এলো এবং কর্তৃপক্ষকে একটা কপি দিয়ে এলো।

বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৩টায় গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার বিষয়ে তিনি বলেন, ঘটনা শোনার পর আমি তো দেখিনি- কে ছাত্রলীগ, কে কী। পুলিশকে ফোন করে বলেছি ঘটনাস্থলে যেতে, আলামত জব্দ করতে, সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে। কিন্তু তাদেরকে আটকে দিলো শিক্ষার্থীরা। কেন? কেউ যদি কোনো অপরাধ করে, সে কোন দল করে কী করে তা আমি দেখি না, অপরাধী অপরাধীই। কে ছাত্রলীগ বা কী, জানি না। অপরাধী অপরাধীই, অন্যায়কারীর বিচার হবে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাচ্চা একটা ছেলে, ২১ বছর বয়স। কী অমানবিক। পোস্টমর্টেম রিপোর্টটা দেখেছি। সব ইনজুরি ভেতরে। একটা কথা আমার মাথায় এলো। ২০০১ সালে আমাদের ছেলেদের মারা হতো হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে। বাইরে থেকে কিছু বোঝা যেত না। সব ইনজুরি হতো দেহের ভেতরে। মারা যেত।

তিনি আরো বলেন, যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাবে তারা আমার পার্টির এটা আমি কখনই মেনে নেব না। আমি সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রলীগকে ডেকেছি। তাদের বহিষ্কার করতে বলেছি, পুলিশকে বলেছি অ্যারেস্ট করতে। ছাত্র রাজনীতিতে, এই বুয়েটে আমাদের অনেক নেতাকর্মীকেও তো হত্যা করা হয়েছে। কেউ কোনোদিন বলেছে, কেউ অ্যারেস্ট হয়েছে? এটা করা হয়নি। আমি ক্ষমতায় আসার পর চেষ্টা করেছি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ স্বাভাবিক করতে।

শেখ হাসিনা বলেন, ফাহাদ হত্যাকারীদের বিচার করা হবেই। কতই না নৃশংসভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমি আমার বাবা-মা-ভাইবোনকে হারিয়েছি। নৃশংসভাবে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে। দেশবাসীকে ভুলে গেলে চলবে না- ৩৮ বছর পর আমি এর বিচার পাই। বিচার ঠেকাতে ইনডেমিনিটি করা হয়েছিল। একথা বলার সময় আবেগে প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠরোধ হয়ে আসে।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ