মুজিববর্ষে ঢাকা আসবেন মোদি প্রণব ও সোনিয়া

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০১৯, ১১:৫০ এএম

ঢাকা : ২০২০ সালের ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময়কে মুজিববর্ষ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আর মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া দেশটির সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ও কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীরও আসার কথা রয়েছে।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) জাতীয় জাদুঘরে বাংলাদেশকে ভারতের স্বীকৃতির ৪৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে ‘মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান ও বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এ তথ্য জানান। অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের জনগণের প্রত্যাশা বন্ধুপ্রতিম ভারত উভয় দেশের জনগণের মধ্যে দুশ্চিন্তা বা আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার মতো কোনো কাজ করবে না। পরস্পর বন্ধুত্বের মাধ্যমেই বাংলাদেশ-ভারত এগিয়ে যাবে। উভয় দেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার ৩৮০ শহীদ ভারতীয় সেনাসদস্যের জন্য সম্মাননা স্মারক প্রস্তুত করেছে, যা শিগগিরই তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ১২ ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যের পরিবারের হাতে মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা তুলে দেন।

মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারত সরকার ও ভারতীয় জনগণের বহুমাত্রিক অবদানের বিস্তারিত আলোচনা ছাড়া বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অসম্পূর্ণ।’

তিনি আরো বলেন, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা দুই বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে একসঙ্গে রক্ত ঝরিয়েছি।’

নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা ও বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের সভাপতিত্বে সভায় ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাশ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, ব্রিটিশ মানবাধিকার নেতা জুলিয়াস ফ্রান্সিস, এরোমা দত্ত এমপি প্রমুখ বক্তব্য দেন।

ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি বলেন, একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি হয়। সোনালি অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক তৈরি হয়। এ সম্পর্ক অটুট থাকবে।

তিনি বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সবার আগে। দুই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এ সম্পর্ক আরো জোরদার হবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই