দুদক কমিশনার

জিডিপির অর্জন খেয়ে ফেলছে দুর্নীতি

  • সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২০, ০৮:২২ পিএম

সিরাজগঞ্জ : দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কমিশনার (তদন্ত) এ,এফ, এম আমিনুল ইসলাম বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার মানুষ বেশি ধর্মভীরু। অথচ এ অঞ্চলের মানুষ বেশি দুর্নীতি করে। এ দুর্নীতিই বাংলাদেশের জিডিপি অর্জণের আড়াই থেকে ৩ ভাগ খেয়ে ফেলছে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে সিরাজগঞ্জ শহরের শহীদ এম, মনসুর আলী অডিটোরিয়ামে জনতার শক্তি, রুখবে দুর্নীতি এই শ্লোগানে আয়োজিত গণশুনানী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি একটি সামাজিক ব্যাধি। এটা থেকে মানুষকে বেরিয়ে আসতে হবে। এজন্য দুর্নীতিবাজ মানুষকে আগে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে, তারপর আল্লাহুপাকের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তবেই সে ক্ষমা পেতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে এ পর্যন্ত ১৪১টি গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত দেড় বছরে দুদকে ৩৭ লাখের অধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে অর্থ আত্বসাতের অভিযোগই বেশি। যেগুলো আমাদের তদন্ত করার ক্ষমতা নেই, সেগুলো সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

এ উপলক্ষে দুদক সম্বনিত (সিরাজগঞ্জ-পাবনা) কার্যালয়ের আয়োজনে জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় দুর্নীতি দমন কমিশন রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক মোর্শেদ আলম, সিরাজগঞ্জ-পাবনা অঞ্চলের উপ-পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু ইউসুফ ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি হেলাল আহম্মেদ বক্তব্য রাখেন।

সভা শেষে গণশুনানী শুরু হয়। গণশুনানীতে বিভিন্ন দপ্তরের বিরুদ্ধে করা ৪৩টি অভিযোগ উত্থাপিত হয়। এরমধ্যে সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের স্বাস্থ্য - শিক্ষা অফিসার ইমান আলীর অনিয়ম ও দুর্নীতি, বদলী জনিত কারনে উৎকোচ দাবী করায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম এবং ভিজিডি কার্ডের অর্থ আত্বসাতের দায়ে সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর পরিষদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ আমলে নিয়ে দুদকের তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। বাকিগুলো বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে ৭ থেকে ১০ কর্ম দিবসের মধ্যে নিস্পত্তি করার জন্য নির্দেশ দেন দুদক কমিশনার।

সোনালীনিউজ/এমটিআই