মধ্যরাত থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলছে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২০, ০৯:৫৪ এএম

ঢাকা : বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের আওতাধীন আটটি সংগঠনের ডাকে সারাদেশে সোমবার (১৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছে পণ্যবাহী নৌযান শ্রমিকরা। তবে নৌ শ্রমিকদের সব দাবি এখনই মানা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন নৌযান মালিকরা।

শ্রমিকরা ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়ার পর বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় সোমবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে বৈঠকে বসে শ্রমিক-মালিকরা। মধ্যরাত পর্যন্ত দীর্ঘ বৈঠক চললেও সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি দুই পক্ষ।

বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক জানান, দুই পক্ষই নিজ নিজ দাবিতে অনড় থাকায় সমঝোতা হয়নি।
১১ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকে পূর্ব ঘোষণা অনুযাযী এ ধর্মঘট শুরু করছেন তারা। একই দাবিতে গত দেড় বছরে আরও তিনবার ধর্মঘটে গিয়েছিল তারা।

নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন বরিশাল শাখার যুগ্ম সম্পাদক একিন আলী মাস্টার জানান, ধর্মঘট শুরুর সব প্রস্ততি তারা শেষ করেছেন। শ্রমিকরা সন্ধ্যার পর থেকে নৌবন্দর এলাকায় ফেডারেশন কার্যালয়ে অবস্থান নিয়েছেন। নদী বন্দরে গিয়ে রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে তারা পণ্যবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেন।

নৌযান শ্রমিকদের ১১ দফা দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- নিয়োগপত্র দেওয়া, বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, খাদ্যভাতা দেওয়া, প্রভিডেন্ট ফান্ড গঠন, কর্মরত অবস্থায় কোনো শ্রমিকদের মৃত্যু হলে তার পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া, ভারতগামী নৌযানের শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস দেওয়া, নৌপথে নাব্যতা রক্ষা এবং নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, ডাকাতি ও পুলিশী নির্যাতন বন্ধ ইত্যাদি।

নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শাহ আলম ভূঁইয়া জানান, এর আগেও ধর্মঘটে যাওয়ার পর দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল সরকার ও নৌযান মালিকরা। পরবর্তীতে তারা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেননি। তাই বাধ্য হয়ে আবারও ধর্মঘটে যেতে হয়েছে তাদের। এদিকে ধর্মঘটের কারণে বরিশাল থেকে পণ্যবাহী কোনো নৌযান চলাচল করছে না।

সোনালীনিউজ/এএস