শুক্রবার থেকে ৮ ঘন্টা খোলা থাকবে শপিংমল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২১, ০২:০৪ পিএম
ফাইল ছবি

ঢাকা: সারাদেশে ৫ এপ্রিল থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত কঠোর নিষেধাজ্ঞা চলছে। এই সময়ে জনসমাগম এড়াতে বন্ধ রয়েছে রাজধানীসহ দেশের প্রধান প্রধান শহরগুলোর শপিংমল ও দোকানপাট। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই বিক্ষোভ করেছেন রাজধানী ও বিভিন্ন জেলা শহরের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা।  দেয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠিও। অবশেষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামীকাল শুক্রবার (৯ এপ্রিল) থেকে মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সময়ে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শপিংমল ও দোকানপাট খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে উপসচিব মো. রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি গণমাধ্যমের প্রচারের জন্য পাঠানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, আগামীকাল শুক্রবার (৯ এপ্রিল) থেকে ১৩ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কঠোর স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখা যাবে। তবে, স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন না করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এতে আরও বলা হয়, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমও ও যথারীতি চলমান থাকবে।

এর আগে সরকার ঘোষিত চলমান কঠোর নিষেধাজ্ঞার মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্দিষ্ট একটা সময়ের জন্য বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) থেকে দোকান খোলা রাখার অনুমতি চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব বরাবর একটি চিঠি পাঠায় বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। 

বুধবার (৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংগঠনের সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে বৃহস্পতিবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খোলা রাখতে অনুরোধ জানিয়েছি আমরা।

এর আগের ৩ এপ্রিল ‘লকডাউনে’ পাইকারিভাবে পণ্য বিক্রি করতে দিনে ৫ ঘণ্টা দোকান খোলা রাখার সুযোগ দিতে সরকারের কাছে আবেদন জানায় ব্যবসায়ীরা।

হেলাল উদ্দিন বলেন, চিঠিতে সরকারের কাছে আমরা সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পাইকারি মার্কেটগুলো খোলা রাখার জন্য অনুরোধ করেছি। কারণ পাইকারিভাবে পণ্য বিক্রি না হলে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও সাধারণ মানুষ পণ্য পাবে না।

চিঠিতে বলা হয়েছে, গতবারের মতো এবারও যদি মার্কেট বন্ধ থাকে তাহলে বিলাসী পণ্য বিশেষ করে ঈদের জামা কাপড়, কসমেটিকস ব্যবসায়ীরা মাঠে মারা যাবেন। আপাতত এসব পণ্যের পাইকারি মার্কেট খোলা রাখার অনুমতি চাই আমরা। কারণ এখনও এসব পণ্যের খুচরা বিক্রি শুরু হয়নি, পাইকারি পর্যায়ের বিক্রি চলছে। তাই আমরা দৈনিক মাত্র ৫ ঘণ্টা ব্যবসা করার জন্য সুযোগ চাই।

সোনালীনিউজ/এমএইচ