ব্যুরো থেকে অধিদপ্তর হচ্ছে বিএমইটি

  • নিজস্ব প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২১, ১২:৪৪ পিএম
ফাইল ছবি

ঢাকা : জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি সংযুক্ত দপ্তর। প্রতিষ্ঠানটির কর্মপরিধি এবং গুরুত্ব বেড়ে যাওয়ায় জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) থেকে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ অধিদপ্তর করতে চায় সরকার। এজন্য প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির অনুমোদনের জন্য মন্ত্রী পরিষদ সচিবকে চিঠি দিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব একেএম শরীফুল ইসলাম সিদ্দিকী এ সংক্রান্ত চিঠি দেন।

প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির জন্য সারংক্ষেপে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যসহ কয়েকটি দেশে বাংলাদেশী কর্মসংস্থানের সুযোগ হওয়ায় মাত্র ৩৭জন জনবল নিয়ে বিএমইটির যাত্রা শুরু হয়। নাগরিক সেবা প্রদানের ধারাবাহিকতায় বর্তমানে বিএমইটির সদর দপ্তরসহ মাঠ পর্যায়ে ৪২টি জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস, ৪টি বিভাগীয় কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস, ৩টি শিক্ষানবিষ প্রশিক্ষণ দপ্তর, ৬টি ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি, ৬৪টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর  জন্য বর্তমানে বিভিন্ন পর্যায়ে রাজস্বখাতে ৪ হাজার ৮১৬টি পদ সৃজন করা হয়েছে। এছাড়াও ৪০টি উপজেলায় ৪০টি টিটিসি এবং চট্রগ্রামে ১টি আইএনটি স্থাপন শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলমান রয়েছে। 
 
প্রতিষ্ঠার সময় ১৯৭৮ সালে বিদেশে কর্মী পাঠানোর সংখ্যা ছিল মাত্র ৬ হাজার ৮৭ জন। বর্তমানে গত ২০২০ সালে কর্মী প্রেরণ করা হয়েছে ২ লক্ষ ১৭ হাজার ৬৯ জন। এই প্রবাসী কর্মীদের মাধ্যমে রেমিটেন্স আদায় হচ্ছে ২১.৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা মোট জিডিপির প্রায় ৭ শতাংশ। বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও কর্মীও প্রেরিত রেমিটেন্স দেশের দারিদ্র্য বিমোচন, বেকারত্ব, আর্থ সামাজিক উন্নয়ন এবং এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ, আমেরিকা,অস্ট্রেলিয়াসহ ১৭০টি দেশে কর্মী প্রেরণ করা হচ্ছে। দেশব্যাপী এত বিশাল সংখ্যক জনবল সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা এবং সময়োপযোগী প্রশিক্ষনের মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরি ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোকে অধিদপ্তরে রুপান্তর করে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ অধিদপ্তর নামকরণ করা সমীচীন।

প্রস্তাবটি বাস্তবায়নের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হলে শর্তসাপেক্ষে বিএমইটিকে অধিদপ্তরে রুপান্তরের সম্মতি প্রদান করা হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শর্তানুযায়ী অর্থমন্ত্রণালয়ে সম্মতি পাওয়ার পর সম্মতির জন্য প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির নিকট প্রেরণ করা হয়।

সোনালীনিউজ/এসআই/এমএএইচ