ঢাকা : ৪২ তম বিসিএস এর নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ৩ হাজার ৯৫৭ জন প্রার্থীকে চুড়ান্ত করে প্রজ্ঞাপন জারী করা হয়। এর আগে নিয়োগের সুপারিশ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় পাবলিক সার্ভিস কমিশন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সারসংক্ষেপ পাঠায়। সারসংক্ষেপ অনুমোদনের পর আজ প্রজ্ঞাপন জারি করা হল।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সারসংক্ষেপ অনুমোদনের পর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এর আগে স্বাস্থ্য ক্যাডারে ৪২ তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবারের পরীক্ষায় মোট ৬ হাজার ২২ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।
গত বছরের ২৯ মার্চ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, প্রথমে ৪২ তম বিসিএস থেকে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের কথা থাকলেও সরকারের বিশেষ ক্ষমতায় এখান থেকে আরও দুই হাজার অর্থাৎ মোট ৪ হাজার চিকিৎসক নিয়োগর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সরকারের ইচ্ছা দ্রুত সময়েই এই চিকিৎসকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করে তাঁদের পদায়ন করা। এ বিষয়েও সরকারের বিভিন্ন দপ্তর কাজ করে যাচ্ছে।
করোনার সময় দফায় দফায় পেছানো হয় ৪২ তম বিসিএসের ভাইভা। পরে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ও করোনার সময় বিশেষ ভাবে চিকিৎসক নিয়োগ দিতে কাজ করে পিএসসি। এ সময় জরুরি অবস্থাতেও সরকারের কাছে বিশেষ অনুমতি নিয়ে কাজ করে পিএসসি। গত ৫ মে মৌখিক পরীক্ষা সূচি প্রকাশ করে পিএসসি বলেছিল, ৪২ তম বিসিএস বিশেষ ক্যাডারের লিখিত পরীক্ষায় (এমসিকিউ টাইপ) উত্তীর্ণদের মধ্যে ৬ হাজার ২২ জনের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হবে ২৩ মে। ৩০ জুন পর্যন্ত ৬ হাজার ২২ জনের ভাইভা অনুষ্ঠিত হবে। পরে ১৮ মে বিজ্ঞপ্তিতে পিএসসি জানায়, বর্তমান করোনার পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারি বিধিনিষেধের কারণে ৪২ তম বিসিএস (বিশেষ) মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। অল্প সময়ের মধ্যে নতুন তারিখ জানানোর কথা জানিয়েছিল পিএসসি। পরে ৬ জুন শুরু থেকে আবার ভাইভা শুরু করে পিএসসি। এ পরীক্ষা আগামী ১৩ জুলাই পর্যন্ত চলার কথা ছিল। করোনার কারণে সেই ভাইভা স্থগিত করা হলো। এর পরেও কয়েক বার করোনায় পিছিয়ে যায় ভাইভা।
করোনার প্রেক্ষাপটে দুই হাজার চিকিৎসককে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দিতে গত বছর ৪২ তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় (লিখিত টাইপ) ৩১ হাজার চিকিৎসক অংশ নেন। পরীক্ষার এক মাস পর ২৯ মার্চ এই বিসিএসের ফল প্রকাশ করে পিএসসি। এতে উত্তীর্ণ হন ৬ হাজার ২২ জন।
উত্তীর্ণদের তালিকা পিএসসির ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও টেলিটক মোবাইল ফোন থেকে এসএমএস করে উত্তীর্ণদের ফল পাঠানো হচ্ছে।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বেলা ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ২৫টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
দুই হাজার সহকারী সার্জন (চিকিৎসক) নিয়োগের জন্য গত বছর নভেম্বর মাসে ৪২তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। এতে ৩১ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়ে।
সোনালীনিউজ/এসআই/এমএএইচ