মায়ের দাফন শেষে ফের কারাগারে বাবর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০১৬, ০৮:২৮ পিএম

মায়ের মৃত্যুতে ছয় ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্ত হয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর কবরও জিয়ারত করেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর।

গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় দিকে বনানী কবরস্থানে বাবরের মা জোবাইদা রহমানকে দাফন করার পর বাবর সেখানে থাকা কোকোর কবর জিয়ারত করেন বলে জানিয়েছেন তার একান্ত সহকারী এ কে এম মির্জা হায়দার। বনানী কবরস্থানে মায়ের দাফন শেষে প্যারোলে ছয় ঘণ্টার জন্য মুক্তি পাওয়া সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে ফের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বাবরের মা জোবাইদা রহমানকে বনানী কবরস্থানে তার বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা এ কে লুৎফর রহমানের কবরের পাশে দাফন করা হয়। এ সময়ে লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আত্মীয় স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। এরপর বিএনপি সরকারের সাবেক মন্ত্রী বাবর দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করেন।

মির্জা হায়দার বলেন, স্যার তার মায়ের দাফন শেষ করে আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করেন। সেখানে তিনি ফাতেহা পাঠের পর মোনাজাত করেন। মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৫টার দিকে রাজধানীর অ্যাপেলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লুৎফুজ্জামান বাবরের মা জোবাইদা রহমান মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৯৬ বছর।

এরপর মায়ের জানাজায় অংশ নেওয়ার আবেদন করায় মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে বাবরকে ছয় ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সুপার মো. জাহাঙ্গীর কবির। এর আগে আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত এই আসামি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এ থাকলেও মঙ্গলবার সকালে একটি মামলায় হাজিরা শেষে ঢাকার আদালত থেকে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয় বলে জানান কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১-এর সুপার সুব্রত কুমার বালা। সেখান থেকেই প্যারোলে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে সন্ধ্যায় গুলশান-২ এর ১০৭ নম্বর সড়কের ১১৫ নম্বর বাসায় যান লুৎফুজ্জামান বাবর। সেখানে পৌঁছে মায়ের কফিনের পাশে কিছুক্ষণ অবস্থানের পর মায়ের দ্বিতীয় জানাজায় অংশ নেন বাবরসহ তার আত্মীয় স্বজনরা।

বাবরের একান্ত সহকারী মির্জা হায়দার জানান, আসরের পর গুলশানের আজাদ মসজিদে জোবাইদা রহমানের প্রথম এবং মাগরিবের পর গুলশানের বাসার সামনে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা হয়। মৃত্যুকালে জোবাইদা রহমান চার ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে গেছেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর ছিলেন ভাইদের মধ্যে ছোট। ২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় হত্যা মামলা এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায়ও তার নাম রয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন