আদালতে নিরাপত্তা জোরদারে নির্দেশনা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০১৬, ০৯:৫০ পিএম

রাজধানীর গুলশান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার প্রেক্ষাপটে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের সব জেলার আদালতে নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সর্বোচ্চ আদালত থেকে প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বুধবার (১৩ জুলাই) বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মো. সাব্বির ফয়েজ বলেন, ‘জেলা আদালতগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্থানীয় প্রশাসন যাতে সহযোগিতা করে, সেজন্য পুলিশ প্রধানকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

পাশাপাশি জেলা জজের প্রতিও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, সহযোগিতা চাইবে। আইজিপিকে বলা হয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দিতে নিরাপত্তায় সহযোগিতার জন্য।

এক যুগ আগে বাংলাদেশের আদালতগুলোতে হামলার লক্ষ্যবস্তু করে তোলা জেএমবি সাম্প্রতিক গুলশান হামলায়ও জড়িত বলে পুলিশের দাবি।

গত ১ জুলাই গুলশানে হামলার ছয় দিনের মধ্যে শোলাকিয়ায় দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাতের কাছে হামলা হয়েছিল। এই ধরনের হামলা আরও হতে পারে বলে প্রধানমন্ত্রীও সবাইকে সতর্ক করেছেন।

এদিকে সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রীমকোর্ট এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে সতর্কতামূলক নানা পদক্ষেপ ইতোমধ্যে নেয়া হয়েছে বলেও জানান সাব্বির ফয়েজ।

মঙ্গলবার (১২ জুলাই) বিকালে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বর্তমান কমিটির নেতা ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা বৈঠক করেন।

সুপ্রিম কোর্টের এক কর্মকর্তা জানান, ওই সভায় বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত হয়। এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য বুধবার (১৩ জুলাই) সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের কর্মকর্তা ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে বসেন।

মঙ্গলবারের (১২ জুলাই) সভার সিদ্ধান্তের বিষয়ে অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার ফয়েজ বলেন, সর্বোচ্চ আদালতের মূল ভবন সবগুলো ও এনেক্স ভবনে থাকা দুটি ছাড়া অন্য পকেট গেটগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে। মূল ভবন ও এনেক্স ভবনের মূল প্রবেশ পথে স্ক্যানার বসানো হবে।

‘আইনজীবী, আইনজীবী সহকারীদের পরিচয়পত্র ব্যবহার করতে হবে, শিক্ষানবিস আইনজীবীদেরও পরিচয়পত্রের ব্যবস্থা করতে হবে। পর্যায়ক্রমে পরিচয়পত্র ছাড়া প্রবেশে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হবে।’

সুপ্রিম কোর্ট এবং আইনজীবী সমিতির স্টিকার ছাড়া কোনো গাড়ির আদালত প্রাঙ্গণে ঢোকা বন্ধ করে দেয়া হতে পারে। যানবাহন ঢোকার ক্ষেত্রে অটো স্ক্যানিং যন্ত্র বসানোর পরিকল্পনাও রয়েছে।

অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার ফয়েজ বলেন, ‘আদালত প্রাঙ্গণের প্রতিটি পয়েন্টেই সিসি ক্যামেরা সংখ্যা বাড়ানো হবে। এটি সার্বক্ষণিক তদারকির জন্য সেল গঠন করা হয়েছে।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম