হলি আর্টিজানের মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: গণপূর্তমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০১৬, ০৯:৩৯ পিএম

রাজধানীর গুলশানে জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত হলি আর্টিজান বেকারি অনুমতি ছাড়াই চলছিল জানিয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। এজন্য ক্যাফেটির মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

গত ১ জুলাই রাজধানীর কূটনীতিক পাড়ার ওই ক্যাফেতে জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশি ও দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২২ জন নিহত হওয়ার পর আবাসিক এলাকা গুলশানের অবৈধ বাণিজ্যিক স্থাপনা বন্ধ করে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

রোববার (১৭ জুলাই) সচিবালয়ে আসাসিক প্লটে ও ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে ও উচ্ছেদে গৃহীত কার্যক্রম অগ্রগতি নিয়ে এক বৈঠকে মন্ত্রী মোশাররফ বলেন, ‘হলি আর্টিজান বেকারি অবৈধভাবে এবং কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়া রেস্টুরেন্ট চালু রেখেছিল। সেখানে একটা ঘটনায় বিদেশিদের হত্যা করা হয়েছে, যা বাংলাদেশে প্রথম।’

অনুমতি না নিয়ে ব্যবসা পরিচালনার জন্য হলি আর্টিজানের মালিকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘আর্টিজানের মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ।’

মন্ত্রীর অস্পষ্ট উত্তরে সাংবাদিকরা পুনরায় প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “যাব (ব্যবস্থায়), নিশ্চয়ই যাব।”

গুলশান ২ নম্বর সেকশনের ৭৯ নম্বর সড়কে ১০ কাঠার প্লটের উপর দোতলা ভবনে গড়ে ওঠা হলি আর্টিজান বেকারি বিদেশিদের কাছে জনপ্রিয় ছিল। লেকের ধারের এই ক্যাফের খোলা লন ছিল। সেখানে বিদেশি অনেকে চাদর বিছিয়ে রোদ পোহাতেন, শিশুদের খেলার পর্যাপ্ত জায়গাও ছিল।

জনপ্রিয়তা বাড়ায় মাসখানেক আগে এই বেকারিতে যোগ করা হয় আইসক্রিম বিক্রির পৃথক স্টল। তারও আগে মূল ফটকের ঠিক পাশেই বসানো হয় পিজা কর্নার।

হলি আর্টিজান বেকারিতে ১ জুলাই রাতে একদল জঙ্গি ঢুকে বিদেশিসহ বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করে। সকালে কমান্ডো অভিযান চালিয়ে ওই রেস্তোরাঁর নিয়ন্ত্রণ নেয় নিরাপত্তা বাহিনী।

ঘটনার পরপরই সেখানে গিয়ে নিহত হন দুজন পুলিশ কর্মকর্তা। এরপর সকালে অভিযান শেষে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জিম্মির লাশ উদ্ধার করা হয়। কমান্ডো অভিযানে নিহত ছয় জঙ্গির লাশ পাওয়ার কথাও জানায় নিরাপত্তা বাহিনী।

অভিযানে অনেকটাই বিধ্বস্ত হলি আর্টিজান বেকারি এখনও বন্ধ রয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম