ঢাকা : পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে মহাসড়কে বাড়ছে গাড়ির চাপ। সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঈদের তিনদিন পূর্বে বাড়ি ফিরতে যাওয়া ঘরমুখো মানুষ।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) সকাল থেকেই রাজধানীর সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী এলাকায় সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
যানজটের কারণে সময় মতো কোনো গাড়ি কাউন্টারে পৌঁছাতে পারছে না। এদিকে গুলিস্তান থেকে সায়দাবাদ, সায়দাবাদ থেকে চিটাগাং রোড, ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে বের হতে তীব্র যানজট লক্ষ্য করা গেছে।
সময়মতো কাউন্টারে গাড়ি না আসতে পারার কারণে ঘরমুখো মানুষের ভিড় দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হচ্ছে। এদিকে প্রচণ্ড গরমে শত শত গাড়ি আটকে থাকার কারণে চালক ও যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা গেছে, সায়েদাবাদ থেকে চিটাগাং রোড ও ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বের হতে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা সময় লাগছে।
কমলাপুর থেকে সায়েদাবাদ এসেছেন ফয়সাল নামে এক যাত্রী। তিনি জানান, কমলাপুর থেকে সায়েদাবাদ আসতে তার সময় লেগেছে এক ঘণ্টা। হেঁটে আসলেও বিশ মিনিটে আসতে পারতেন বলে জানান তিনি।
সরেজমিন দেখা যায়, হানিফ কাউন্টারে সাদ্দাম হোসেন নামে এক যাত্রী কাউন্টার মাস্টারের সাথে তর্কে লিপ্ত হয়েছেন। সকাল ৯টায় গাড়ি ছাড়ার কথা থাকলেও এক ঘণ্টা অপেক্ষার পরেও কাউন্টারে গাড়ি আসেনি। গাড়ি কখন আসবে সেটা জানতে চান তিনি। এ সময় কাউন্টার মাস্টার রাগ করে এই যাত্রীকে বলেন, আপনি টিকিট দিয়ে টাকা ফেরত নিয়ে যান। যানজটের কারণে গাড়ি আটকে আছে এখানে তো আমাদের কিছু করার নেই। গাড়ি আসতেছে অপেক্ষা করুন চলে আসবে।
ইমাদ এন্টারপ্রাইজে কাউন্টার মাস্টার আরমান বলেন, রাস্তায় যানজট এতটাই তীব্র যে গুলিস্তান থেকে সায়েদাবাদ আমাদের গাড়ি আসতে সময় লাগছে এক থেকে দেড় ঘণ্টা। এ কারণে সময় মতো গাড়ি ছাড়তে পারছি না। যার কারণে যাত্রীদের ভিড়ও আস্তে আস্তে বাড়ছে। সায়েদাবাদ থেকে একটি গাড়ি ছাড়লে যাত্রাবাড়ী পার হতে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা সময় লাগতেছে। সায়দাবাদ থেকে আশপাশের কোনো রাস্তা ফাঁকা নেই।
সোনালীনিউজ/এনএন