পুলিশি সেবা পেতে টাকা লাগে না : ডিএমপি কমিশনার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০১৬, ০৮:১৮ পিএম

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ‘থানায় পুলিশি সেবা পাবার জন্য কোনো টাকা লাগে না। এরপরও যদি পুলিশি সেবার নামে থানার কোনো কর্মকর্তা বা যে কেউ টাকা নেয় আমাকে জানাবেন। প্রমাণসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সোমবার (২৫ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টায় ডিএমপি সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

বিভিন্ন সমস্যায় পড়ে পুলিশি সেবা নিতে থানায় আসা মানুষের কাছ থেকে সেবার নামে টাকা নিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।

এর আগে ৪৯টি থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত ও ইন্সপেক্টর অপারেশনদের নিয়ে আয়োজিত একই অনুষ্ঠানে নতুন জিডি বুক উদ্বোধন করেন এবং নিউমার্কেট, কলাবাগান ও উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে জিডি বুক হস্তান্তর করেন তিনি।
 
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আজকের দিনটি স্মরণীয় দিন। ডিজিটাল পুলিশিং এর অংশ হিসেবে আজকে জিডি বুক উদ্বোধন করা হলো।
 
কমিশনার বলেন, থানায় যারা আসেন তাদের অধিকাংশই মূলত বিভিন্ন সমস্যা পড়ে পুলিশি সেবার জন্য আসেন। কিন্তু সেবা নেয়ার ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা, পুলিশি অসহযোগিতা, অর্থ নেয়ারও অভিযোগ শোনা যায়। এসব বন্ধে আমরা দীর্ঘদিন থেকে উপায় খুঁজছিলাম। নতুন এই জিডি করার ফরমেটে আর কোনো হয়রানি থাকবে না। সেবার পথ আরো প্রশস্ত হবে।
 
অনেক থানার পাশে রাইটাররা জিডি লিখে দেয়, কলম থাকে না, সাদা কাগজ থাকে না। কিন্তু এখন আর এসবের কিছুই লাগবে না। ভুক্তভোগীরা আসবেন, অভিযোগ লিখবেন, স্বাক্ষর করবেন, ফটোকপিও করতে হবে না। অটো কার্বন কপির মাধ্যমে তার কাজ হয়ে যাবে। জিডির সিরিয়াল নাম্বার বসানোর পর ভুক্তভোগীরা একটি কপি নিয়ে চলে যাবেন। অবস্থা ও জিডির গুরুত্ব অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 
ঢাকা মহানগর পুলিশ প্রধান আরো বলেন, কেউ যদি জিডি স্বহস্তে লিখেও নিয়ে আসেন কিংবা কম্পিউটারে টাইপ করে নিয়ে আসেন- তাহলেও জিডি হিসেবে অন্তুর্ভুক্ত করা হবে। সেক্ষেত্রে জিডি নাম্বার লিখতে হবে।
 
থানা পুলিশের সেবার মান আরো বাড়াতে হবে। জনপুলিশের মেলবন্ধন তৈরির ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া কাজে আসবে। কোনোভাবে যাতে মানুষের থানার পুলিশি সেবা পাবার ক্ষেত্রে বিড়ম্বনা তৈরি না হয়, সেজন্যই এই নতুন প্রক্রিয়া।
 
অনুষ্ঠান শেষে প্রত্যেকটি থানার কর্মকর্তাদের জিডি বুক সরবরাহ করা হয়। প্রত্যেকটি জিডি বুকে রয়েছে ২০০টি পাতা। এর মধ্যে ১০০টি জিডি নথিভুক্ত হবে। একটি থানায় থাকবে একটি ভুক্তভোগী সংরক্ষণ করবেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন