কমলাপুরে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড়

  • বিশেষ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৬, ০৩:৩০ পিএম

কদিন বাদেই পবিত্র ঈদুল আযহা। তাই ঈদ আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে ঢাকা ছাড়ছেন কর্মজীবী মানুষ। ইতোমধ্যে ফাঁকা হতে শুরু করেছে ব্যস্ত নগরী ঢাকা। বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে কমলাপুর রেল স্টেশনে ছিল নাড়ির টানে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড়। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়েই গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছে প্রতিটি ট্রেন।

বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, ট্রেনের সিডিউল অনুযায়ী দিনাজপুরগামী একতা এক্সপ্রেস, অগ্নিবীনা, রাজশাহী এক্সপ্রেস; ময়মনসিংহগামী ইশা খান এক্সপ্রেস; সিলেটগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের জন্য পরিবার-পরিজন-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে কেউবা একাই কাঙ্ক্ষিত ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সরকারি ছুটির কারণে বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ও শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) অন্যদিনের তুলনায় যাত্রীদের বেশি ভিড় হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন রেলের কর্মকর্তারা।

দুটি বড় ব্যাগ, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন বেসরকারী চাকুরিজীবী মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, জীবিকার প্রয়োজন ইট-পাথরের এই শহরে থাকতে হচ্ছে। কিন্তু মনটা পড়ে থাকে নিজ গ্রামেই; ঈদের সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে গ্রামে ঈদ করতে যাওয়ার সুযোগ পাওয়ায় এখনই আলাদা প্রশান্তি কাজ করছে। শত ভোগান্তির মাঝেও বাড়ি ফেরার অনুভূতি অনেক মজার।

অন্যদিকে রংপুর এক্সপ্রেস নির্ধারিত সময়ে প্লাটফর্মে না আসায় কমলাপুর স্টেশনে যাত্রীদের অপেক্ষা বাড়তে থাকে। রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য বান্ধবীদের সঙ্গে অপেক্ষায় থাকা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সানজিদা তাসলিম বলেন, সড়ক পথে অতিরিক্ত যানজটসহ নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এসব এড়াতে ট্রেনের টিকিট কেটেছি। এখানে ট্রেন স্টেশনে আসতেই বিলম্ব করছে। ছাড়বে কখন- তা নিয়েই দুশ্চিন্তা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, দুশিন্তা থাকলেও শত বিড়ম্বনা উপেক্ষা করে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছি। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগির জন্য বিড়ম্বনার মধ্যেই ঘরে ফেরাতেই যেন অন্য এক আনন্দ।

এদিকে ট্রেন যাত্রীদের নিরাপদ ও ভোগান্তিমুক্ত যাত্রা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি