সন্তানদের পড়ালেখায় পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় চান আমলারা

  • বিশেষ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ২, ২০২৪, ০৮:২৪ পিএম

ঢাকা: সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য আলাদা সিভিল সার্ভিস বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে চান আমালারা। গত ৩ থেকে ৬ মার্চ অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক সম্মেলনের প্রথম দিবসে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারগণের মুক্ত আলোচনায় এই প্রস্তাব দেন আমালারা। 

প্রস্তাবনায় বলা হয়, সিভিল সার্ভিস অফিসারদের জন্য মাস্টার্স এবং উচ্চতর ডিগ্রী ও প্রশিক্ষণ এবং তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য আলাদা সিভিল সার্ভিস বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে।

এসময় জনপ্রশাসন মন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব উপস্থিত ছিলেন।

[222555]

মুক্ত আলোচনায় জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারগণ প্রধানমন্ত্রীর সামনে ২৪টি প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। তাদের প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে, বৈদেশিক শান্তিরক্ষা মিশনসমুহে প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য পদ সৃজন এবং পদায়নের ব্যবস্থা করা। উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের দীর্ঘদিনের ব্যবহৃত পুরাতন গাড়ী পরিবর্তন করে নতুন গাড়ি সরবরাহ করা। মোবাইল কোর্ট সম্পর্কিত আপিল মামলাটি সরকার পক্ষে দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং প্রয়োজনে মোবাইল কোর্টকে সংবিধানে অর্ন্তভূক্ত করা প্রয়োজন।

এছাড়া প্রস্তাবনায় আরও রযেছে, ভারতের সাথে তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে বাস যোগাযোগ চালু করা। পাথরঘাটা উপজেলায় জেলেদের স্বার্থ রক্ষায় একটি কোল্ড স্টোরেজ বা মৎস সংরক্ষণাগার স্থাপন করা প্রয়োজন। গাইবান্ধা জেলায় নারী ও শিশুদের জন্য একটি সেইফ হোম স্থাপন করা যেতে পারে।

জেলায় উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করার পূর্বে প্রস্তাবিত প্রকল্পটি জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটিতে উপস্থাপন করার বিষয়ে পরিকল্পনা বিভাগ কর্তৃক একটি নির্দেশনা প্রদান করলে জেলার উন্নয়ন প্রকল্পের বিষয়ে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সদস্যগণ অবহিত থাকবেন।

[222553]

বাংলাদেশে পদ্মা নদীর প্রবেশমূখে (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) এবং রাজশাহী জেলায় নদীটির কিছু অংশ ড্রেজিং করে বড় জাহাজ চলাচলের উপযোগী নদীর চ্যানেল সৃষ্টির মাধ্যমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহী ও রুপপুর হয়ে দক্ষিণ অঞ্চল পর্যন্ত অবিচ্ছিন্ন নৌপথ তৈরী করা হলে রাজশাহী অঞ্চলের সাথে দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের নৌপথ চালু হবে। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় আম প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন।

ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়ের প্রত্নতত্ত্ব সমূহের সংরক্ষণ ও সুরক্ষা এবং এর প্রসারে মহাস্থাগড়ের প্রত্নতত্ত্ব এলাকাভূক্ত ব্যক্তি মালিকানা জমি অধিগ্রহণ করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণপূর্বক পর্যটক ও গবেষকদের জন্য আকর্ষনীয় করে গড়ে তোলা প্রয়োজন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে আগাছানাশক তথা ঘাস মারার যে কোনো ধরণের রাসায়নিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে আগাছা দমনের বিকল্প জৈবিক উপায়ের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন।

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলা স্যার জেসি বোশ এর নামে গবেষণাধর্মী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা যেতে পারে। সারাদেশে অবস্থিত সরকারি এবং এমপিওভূক্ত কলেজে ব্যাপকভাবে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স চালুকরণ বন্ধ করে বিদ্যামন অনার্স ও মাস্টার্স লেভেলে প্রতিবছর নতুন নতুন বিষয় অন্তভূক্তকরণ নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। 
বান্দরবান জেলায় ফল প্রসেসিং কারখানা স্থাপন করা যেতে পারে। ময়মনসিংহ শহরের যানজট নিরসনে বর্তমান রেললাইনটি স্থানান্তর করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহরের বাইপাস মোড় হয়ে মংমনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পিছনে সরিয়ে নিলে এবং পুরাতন রেললাইননের স্থলে ৩০০ ফুট প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণ করা হলে ময়মনসিংহ শহরের তীব্র যানজট ও জনভোগান্তি কমে যাবে।

ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয় স্থাপন প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের জন্য বরাদ্দকৃত আরও ৭২০ কোটি টাকা ছাড় করার জন্য অর্থবিভাগকে নির্দেশনা প্রদান করা হলে উক্ত প্রকল্পের ভূমি উন্নয়ন কাজ দ্রত সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

উপজেলা পর্যায়ে ডাক্তার নার্সদের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক মানসম্মত ও আধুনিক আবাসন ব্যবস্থা নির্মাণ করা যেতে পারে। জেলার হাসপাতালগুলোতে রোগীদের কাছ থেকে আদায়কৃত অর্থের একটি অংশ যদি স্থানীয়ভাবে খরচ করার সুযোগ দেয়া হয় তাহলে হাসপাতালগুলোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মান উন্নত হবে এবং বিপুল পরিমাণ যন্ত্রপাতি নিয়মিত মেইন্টেন্যান্স করা সম্ভব হবে।

পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পূর্ণরুপে চালুকরণ, গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী বা রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় একটি নির্দিষ্টকৃত কারিগরি ও বৃত্তিমূলক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।

খুলনা অঞ্চলে সুপেয় পানির পুকুর সংরক্ষণ করা যেতে পারে। রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকার জন্য পৃথক/বিশেষ থানা গঠন করা যেতে পারে অথবা বিদ্যমান থানা ২টির আনুপাতিক জনবল ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা যেতে পারে এবং রোহিঙ্গাদের দ্বারা সংগঠিত অপরাধের বিচরার্থে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করা যেতে পারে। রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক সংবলিত ডেটাবেজে সরকারি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সমূহের প্রবেশাধিকার থাকা প্রয়োজন।

এসআই/আইএ