দুদক চেয়ারম্যান

দুর্নীতি রেখে উন্নয়ন টেকসই হবে না

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ২৫, ২০২৪, ০৭:৩৬ পিএম

ঢাকা : দুর্নীতি রেখে উন্নয়ন হলেও তা কখনও টেকসই হবে না বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আব্দুল্লাহ। তিনি আরও বলেছেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন হয় তাহলে দুদকে কোনো অভিযোগই আসবে না।

শনিবার (২৫ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘দুর্নীতি দমনে নাগরিকদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি একথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘দুর্নীতি রেখে উন্নয়ন হলেও তা কখনও টেকসই হবে না। নাগরিকরা যদি দায়িত্ব পালনে সচেতন হন এবং পারিবারিক পর্যায়ে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখেন তাহলে আশাপ্রদ ফলাফল হবে।’

[224145]

তিনি বলেন, ‘অধিকাংশ আভিযোগে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য থাকে না, যার কারণে কোনও প্রমাণ ছাড়া মামলা দায়ের সম্ভব হয় না।’

নাগরিকেরা সচেতন না হলে দুর্নীতি কমানো সম্ভব হবে না উল্লেখ করে দুদক চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন, দুর্নীতি দমনে দুদক ইতিমধ্যে স্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রচারণা, স্থানীয় পর্যায়ে প্রতিরোধ কমিটি গঠন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সততা ষ্টোর স্থাপন করে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

সভায় ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন রশিদ বলেন, বর্তমানে কতিপয় নুতন ব্যবসায়ী যারা আগে কখনও ব্যবসা করেননি তারা প্রচুর অর্থের মালিক হয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, মানি লন্ডারিং এর সাথে ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মচারী, আমলা, রাজনীতিবিদসহ অনেকেই জড়িত।

[224144]

অনুষ্ঠানে সভাপতির এইচআরপিবির সভাপতি, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, দুর্নীতি দমনের ক্ষেত্রে দুদক জনসাধারণের প্রত্যাশা পূরণে সফল হয়েছে বলে মনে হয় না, কারণ রাঘব বোয়ালরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ধরাছোয়ার বাইরে থাকেন। ক্ষমতাসীনরা যদিও দুর্নীতির বিষয়ে জিরো টলারেন্সের কথা বলেন কিন্তু বাস্তবতা সেটি নয়।’

তিনি দুর্নীতি দমনে এইচআরপিবির পক্ষে ১৯টি সুপারিশ তুলে ধরেন। সভায় আরও বক্তব্য দেন
 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন, সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামিম হায়দার, এটিএন বাংলার প্রধান নির্বাহী সম্পাদক জ ই মামুন প্রমুখ।  

এমটিআই