নূর চৌধুরীর পর রাশেদের বিষয়েও বার্তা আসছে

  • কূটনৈতিক প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৬, ১০:০১ এএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মেজর (বরখাস্ত) নূর চৌধুরীকে প্রত্যর্পণে রাজি হয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্র–ডো। এ ব্যাপারে শিগগিরই বাংলাদেশের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় বসবে কানাডা। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আরেক ফেরার লে. কর্নেল রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। রাশেদকেও যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত আনার বিষয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ। আজ-কালের মধ্যে এ বিষয়ে নতুন বার্তা আসতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে গঠিত টাস্কফোর্স কোনো সফলতা দেখাতে পারেনি। এতে টাস্কফোর্সের কাজের ওপর নাখোশ হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত বছরের আগস্টে তিনি নিজেই এ বিষয়টি তত্ত্বাবধান করার সিদ্ধান্ত নেন। গত এক বছরে শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট কূটনীতিক ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একাধিকবার আলাপ-আলোচনা করে ফেরত আনার পথ বের করেন। যার ধারাবাহিকতায় কানাডা নূর চৌধুরীকে ফেরত দেয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক আলাপ করতে রাজি হয়েছে। অন্যদিকে, রাশেদ চৌধুরীকেও যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত আনার পথ মসৃণ হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সফলতার সঙ্গে কানাডা সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন জাতিসংঘের ৭১তম অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সফর করছেন। সেখানে জাতিসংঘ অধিবেশনের ফাঁকে আজ মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের  প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। হাসিনা-ওবামা সাক্ষাতের জন্য যথাযথ প্রস্তুতি রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। ওই সাক্ষাতে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত লে. কর্নেল এম এ রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত দেয়ার অনুরোধ জানাবে ঢাকা। রাশেদ চৌধুরী বর্তমানে আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেসে অবস্থান করছেন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নিহত হন। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আদালত ১২ জনকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। এই ১২ জনের মধ্যে পাঁচজনের ফাঁসির আদেশ কার্যকর হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্তদের অন্যতম লে. কর্নেল আজিজ পাশা পলাতক অবস্থায় দেশের বাইরে মারা যান। বাকি ছয় আসামি এখনো দেশের বাইরে পলাতক।

বিদেশে পলাতক ছয়জনের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল খন্দকার আবদুর রশিদ কখনো পাকিস্তান কখনো লিবিয়ার বেনগাজিতে, লে. কর্নেল নূর চৌধুরী কানাডায়, লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিম কানাডা, কেনিয়া ও পাকিস্তানে, লে. কর্নেল এম এ রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে, অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদ পাকিস্তানে এবং রিসালদার মোসলেম উদ্দিন কখনো জার্মানি কখনো পাকিস্তানে অবস্থান করছেন। পলাকত এই আসামিদের সবারই পাকিস্তানের পাসপোর্ট রয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই