জঙ্গিদের দেহে স্নায়ু উত্তেজক কিছু মেলেনি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০১৬, ০৩:২১ এএম

ঢাকা: গুলশানের হলি আর্টিজান, কল্যাণপুরের জাহাজ বাড়ি আর নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় নিহত ১৮ জঙ্গির শরীরে স্নায়ু উত্তেজক কোনো রাসায়নিক উপাদান পাওয়া যায়নি। নিহতদের রক্ত ও ভিসেরার নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন চিকিৎসকরা।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘নিহত ১৮ জনের রক্তে রাসায়নিক কিছু পাওয়া যায়নি।’

প্রথম দফায় গত ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এসময় ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে জিম্মিকে তারা নৃশংসভাবে হত্যা করে। পরদিন কমান্ডো অভিযানে প্রাণহারায় ‘নব্য জেএমবি’র সদস্য নিবরাজ ইসলাম, মীর সামেহ মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, খায়রুল ইসলাম পায়েল, শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল ও সাইফুল চৌকিদার।

এ ঘটনার প্রায় চার সপ্তাহ পর ২৭ জুলাই রাজধানীর কল্যাণপুরের ‘তাজ মঞ্জিল’ নামে একটি বাসায় চলে পুলিশি অভিযান। এতে প্রাণ হারায় রায়হান কবির ওরফে তারেক, মতিউর রহমান (২৪), আব্দুল্লাহ (২৩), আবু হাকিম নাইম (২৪), আকিফুজ্জামান খান (২৪), সেজাদ রউফ অর্ক (২৪), তাজ-উল-হক রাশিক (২৫) ও জোবায়ের হোসেনসহ (২২) নয়জন। এরা সবাই ‘নব্য জেএমবি’র সদস্য। যার মধ্যে সেজাদ রউফ অর্ক গুলশান হামলাকারী নিবরাজের বন্ধু। আর নিবরাজসহ অন্য হামলাকারীদের অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন রায়হান কবির ওরফে তারেক।

এসব ঘটনার পর ‘নব্য জেএমবি’র প্রধান হিসেবে চিহ্নিত হন কানাডা প্রবাসী তামিম চৌধুরী। এরপর গেল ২৭ অগাস্ট নারায়ণগঞ্জের একটি বাসায় পুলিশ অভিযান চালায়। এতে দুই সহযোগী তওসিফ হোসেন ও ফজলে রাব্বীসহ তামিম চৌধুরী নিহত হন।

এদিকে, মানুষ হত্যা করতে জঙ্গিদের যে নৃশংসতার পরিচয় পাওয়া যায় তাতে হতবাক হয়ে যান আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তারা ধারনা করেন, আইএস জঙ্গিরা ‘ক্যাপ্টাগন’ নামের এক মাদক গ্রহণ করে যেভাবে দিনের পর দিন নৃশংস খুন আর যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন- এসব জঙ্গিও একইভাবে কোনো মাদক গ্রহণ করে থাকতে পারে। বিষয়টি নিশ্চিত হতেই নিহত জঙ্গিদের রক্ত ও ভিসেরার নমুনা মহাখালীতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। জঙ্গিরা শক্তিবর্ধক কিছু খেয়ে এই নৃশংসতা চালিয়েছিল কিনা তা নিশ্চিত হতে চেয়েছিল গোয়েন্দরা।

সোনালীনিউজ/এমএন