রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কর্তৃক প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে দায়ের হওয়া পৃথক তিন মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ একাধিক আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে।
ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে সোমবার (১১ আগস্ট) থেকে এ সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ইতোমধ্যে মামলার বাদীদের হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছে। বাদীরা হলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া এবং এস এম রাশেদুল হাসান।
দুদকের অভিযোগপত্র অনুযায়ী, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার প্রথম প্রধানমন্ত্রিত্বকালীন সময়ে এবং পরবর্তী বছরগুলোতে প্রভাব খাটিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে রাজউকের বহুমূল্য প্লট নিজেদের বা আত্মীয়-স্বজন ও রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠদের নামে বরাদ্দ নেওয়া হয়। এসব বরাদ্দের ক্ষেত্রে সরকারি নীতিমালা, প্রাধিকার তালিকা এবং লটারি পদ্ধতি এড়িয়ে সরাসরি বরাদ্দ দেওয়া হয়, যা রাজউকের নীতি ও আইন লঙ্ঘন।
[254371]
অভিযোগে বলা হয়, বরাদ্দ পাওয়া অনেক প্লটই সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য নির্ধারিত কোটার বাইরে গিয়েও প্রদান করা হয়েছে। এতে রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়।
মামলাগুলোতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই অনিয়ম ও দুর্নীতি মূলত ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে সংঘটিত হয়, তবে কিছু বরাদ্দ ২০০৯ সালের পরও অনুমোদিত হয়। তিনটি মামলার অভিযোগপত্রে আলাদা আলাদা আসামির তালিকা রয়েছে— প্রথম মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১২ জন, দ্বিতীয় মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৭ জন, তৃতীয় মামলায় সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ জন।
প্রতিটি মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এবং দণ্ডবিধির ৪০৯, ১০৯ ও ৪২০ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত ৩১ জুলাই এই তিন মামলায় চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন একই আদালত। ওইদিন আসামিরা কেউ আদালতে উপস্থিত না থাকায় বিচারক তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
ওএফ