এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার টাকার মধ্যে থাকা উচিত:  জ্বালানি উপদেষ্টা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২৫, ১১:৪৪ এএম

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফওজুল কাবির খান এলপিজির লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে একটি এলপিজি সিলিন্ডার ১২০০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে, কোথাও কোথাও তা পৌঁছেছে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকায়। অথচ এই দাম ১ হাজার টাকার মধ্যে থাকা উচিত।

শনিবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘বাংলাদেশে এলপিজি: অর্থনীতি, পরিবেশ ও নিরাপত্তা’ শীর্ষক পলিসি কনক্লেভে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এলপিজির দাম নিয়ন্ত্রণই প্রধান চ্যালেঞ্জ

ফওজুল কাবির খান বলেন, এলপিজির মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দাম। দাম নিয়ন্ত্রণ, সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং বেসরকারি খাতকে আরও কার্যকর করা এখন অত্যন্ত জরুরি।

তিনি আরও জানান, দায়িত্বশীল ব্যবসা মনোভাব ছাড়া জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।

তিনি মনে করেন, এলপিজি সাময়িকভাবে হলেও দেশের জ্বালানি সংকটের সমাধানে একটি কার্যকর বিকল্প হতে পারে, বিশেষ করে যখন এলএনজি আমদানির মতো দীর্ঘমেয়াদি ও ব্যয়বহুল প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ছে।

জ্বালানি সংকট ‘স্বাভাবিক নয়’, বরং পরিকল্পিত

উপদেষ্টা কড়া সমালোচনা করে বলেন, বর্তমান জ্বালানি সংকট কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয়। এটি একটি পরিকল্পিত সংকট, যা তৈরি হয়েছে কিছু প্রভাবশালী রাজনীতিক ও তাদের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের অনিয়মের কারণে।

তিনি অভিযোগ করেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং গ্যাস লাইন সম্প্রসারণে পরিকল্পনার অভাব ছিল। গ্যাসের চাহিদা বিবেচনা না করেই প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ায় শিল্প ও গৃহস্থালি খাতে অবৈধ সংযোগ বেড়েছে ব্যাপকভাবে।

গ্যাস উৎপাদন কমছে, বাড়ছে নির্ভরতা

দেশের স্থানীয় গ্যাস উৎপাদন প্রতিবছর গড়ে ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট করে কমে যাচ্ছে, অথচ নতুন গ্যাস সংযোগ এসেছে মাত্র ৭০ মিলিয়ন ঘনফুট। এ ঘাটতি পূরণে এলএনজি আমদানি করতে হচ্ছে, যা ব্যয়ের কারণে নতুন চাপ তৈরি করছে অর্থনীতিতে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, যিনি জ্বালানি খাতের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ এলপিজির নিরাপদ ব্যবহার ও পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন।

এম