ঢাকা: বাংলাদেশে সর্বশেষ গণভোট হয়েছিল ১৯৯১ সালে। ৩৪ বছর পর আবারও আলোচনায় এসেছে এ ভোটাভুটি। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের দাবি তুলেছে রাজনৈতিক দলগুলো- বিএনপি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই ভোট আয়োজন চায়, আর জামায়াতে ইসলামী প্রস্তাব করেছে নভেম্বর মাসে গণভোট করার।
নির্বাচন কমিশন বলছে, সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পাশাপাশি সরকার সিদ্ধান্ত নিলে গণভোট পরিচালনায় তারা প্রস্তুত। নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, ‘গণভোট রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের বিষয়। সরকার যদি চায়, আমরা আইন অনুযায়ী আয়োজন করব।’ তিনি মনে করেন, সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হলে ব্যয় সাশ্রয় হবে।
এবারের সংসদ নির্বাচনে ভোটার থাকবেন ১২ কোটি ৬৩ লাখেরও বেশি, ভোটকেন্দ্র ৪০ হাজারের ওপর, এবং ব্যয় হবে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা।
সংসদবিষয়ক গবেষক অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘গণভোটে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব জনগণের কাছে যাচাইয়ের জন্য উপস্থাপন করা হবে। এতে সাংবিধানিক কোনো বাধা নেই।’
এর আগে বাংলাদেশে তিনবার গণভোট অনুষ্ঠিত হয়- ১৯৭৭, ১৯৮৫ ও ১৯৯১ সালে। সর্বশেষ ১৯৯১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর গণভোটে দেশ সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় ফিরে যায়।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে গণভোট আয়োজনকে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ওপর নির্ভরশীল বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন ও বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, একই সঙ্গে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট হলে ব্যয়ও কমবে, জনগণের অংশগ্রহণও বাড়বে।
এসএইচ