অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সরকারি কাজের জবাবদিহি, দক্ষতা এবং জনকল্যাণ নিশ্চিত করতে প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের মূল্যায়নের নতুন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ)-এর পরিবর্তে এখন থেকে সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি গভর্নেন্স পারফরমেন্স মনিটরিং সিস্টেম (জিপিএমএস) ব্যবহার করে মূল্যায়ন করা হবে।
জিপিএমএস বাস্তবায়নের জন্য সরকার একটি উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি গঠন করেছে। সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তিন সদস্যের এ কমিটির সভাপতি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
কমিটিকে সহায়তাদানকারী কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার), আইএমইডি সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কমিটিকে প্রশাসনিক সহায়তা প্রদান করবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কমিটি জিপিএমএস বাস্তবায়নের সার্বিক দিক-নির্দেশনা দেবে। প্রতি অর্থবছরের শেষে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএসের কার্যকারিতা পর্যালোচনা করে সুপারিশ দেবে। এছাড়া কমিটি সরকারের দেওয়া অন্য যে কোনও দায়িত্বও পালন করবে।
কর্মপরিধির আওতায় কমিটি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএসের পরিকল্পনা অনুমোদন দেবে এবং অর্থবছর শুরুর আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চূড়ান্ত করবে।
এ পদ্ধতির মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তাদের কাজের জবাবদিহি আরও শক্তিশালী হবে এবং সরকারি সেবা ব্যবস্থার দক্ষতা ও স্বচ্ছতা বাড়বে, যা সরাসরি সাধারণ জনগণের কল্যাণে প্রতিফলিত হবে।
এসএইচ