২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রেসসচিব জানান, আগামী বছরের সরকারি ছুটির তালিকায় নির্বাহী আদেশে এবং সাধারণ ছুটিসহ মোট ২৮ দিন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে ৯ দিন শুক্রবার ও শনিবার পড়ায় মূল ছুটি হবে ১৭ দিন।
গত বছর, ২০২৫ সালে সরকারি ছুটি মোট ২৬ দিন ছিল, যার মধ্যে শুক্রবার ও শনিবারের ছুটি বাদ দিলে মূল ছুটি ছিল ১৫ দিন। এভাবে ২০২৬ সালে ছুটির সংখ্যা দুই দিন বেড়েছে।
ছুটির তালিকায় ধর্মীয় ও জাতীয় উৎসবসহ সরকারি কাজে প্রয়োজনীয় সব দিন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের জন্য পরিকল্পনা সুবিধা হিসেবে কাজ করবে।
ছুটির মধ্যে রয়েছে ধর্মীয় উদযাপন, জাতীয় দিবস, আন্তর্জাতিক দিবস এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান।
ধর্মীয় ছুটি:
ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, শবে বরাত, আশুরা, ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী ইত্যাদি।
জাতীয় দিবস:
শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (২১ ফেব্রুয়ারি), স্বাধীনতা দিবস (২৬ মার্চ), বিজয় দিবস (১৬ ডিসেম্বর) ইত্যাদি।
সাপ্তাহিক ছুটি সুবিধা:
কিছু ছুটি সপ্তাহের শেষ বা শুরুতে পড়ায় দীর্ঘ উইকেন্ডের সুযোগ রয়েছে। উদাহরণ: বড়দিন ২৫ ডিসেম্বর শুক্রবার।
দ্রষ্টব্য: ছুটির তারিখ কিছু ধর্মীয় উৎসবের জন্য ইসলামিক ক্যালেন্ডারের উপর নির্ভরশীল, তাই স্থানীয় অনুমোদনের মাধ্যমে চূড়ান্ত তারিখ পরিবর্তিত হতে পারে।
ধর্মীয় ছুটির গুরুত্ব
ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা: ধর্মীয় উৎসব হিসেবে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো ও সামাজিক সম্পর্ক দৃঢ় করার সময়।
শবে বরাত ও আশুরা: ধর্মীয় প্রতিফলন এবং আত্মশুদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী: মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্মদিন।
জাতীয় দিবসের প্রভাব
শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস: বাংলাদেশের ইতিহাস এবং ভাষা আন্দোলনের স্মরণ।
স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবস: দেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে উদযাপিত।
২০২৬ সালের ক্যালেন্ডার নাগরিকদের জন্য সময় ব্যবস্থাপনা সহজ করবে। সরকারি ও ধর্মীয় ছুটি, জাতীয় দিবস এবং সাপ্তাহিক ছুটি পরিকল্পনার মাধ্যমে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে ভারসাম্য আনবে। এটি শিক্ষার্থী, কর্মজীবী এবং ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ সহায়ক হবে।
এসএইচ