ভোটকেন্দ্রের দায়িত্ব নিয়ে কথাবার্তা-অডিও ফাঁসের দাবি ঘিরে নতুন রহস্য

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৫, ০৫:৪৩ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের ইন্ডিপেনডেন্ট ডিরেক্টর মো. আব্দুল জলিল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ এবং ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর কথোপকথনের কিছু অংশ ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে-বাইরে দায়িত্ব বণ্টন, কেন্দ্রের নিরাপত্তা ও ডিউটি প্ল্যান নিয়ে আলাপের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। বিষয়টি সামনে আসার পর রাজনৈতিক মহল থেকে সোশ্যাল মিডিয়া-সব জায়গায় নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

জনগুরুত্ব বিবেচনায় কথোপকথনের কিছু অংশ প্রকাশ পেয়েছে দাবি করা হলেও এর সত্যতা নিয়ে কোনো পক্ষই আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। তবে অডিও ফাঁসের অভিযোগ সামনে আসতেই পুরোনো বিতর্ক-ইসলামী ব্যাংক ও জামায়াতে ইসলামের সম্ভাব্য যোগাযোগ-আবারও আলোচনায় এসেছে। যদিও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার গত ২৮ অক্টোবর এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে তাদের কোনো সাংগঠনিক বা প্রশাসনিক সম্পর্ক নেই।

এর আগে ২৬ অক্টোবর বিএনপি নির্বাচন কমিশনের কাছে ইসলামী ব্যাংক, আল–আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক এবং ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্ব না দেওয়ার আহ্বান জানায়। এর প্রতিক্রিয়ায় জামায়াত উদ্বেগ জানিয়ে বলে, এসব প্রতিষ্ঠান বহু বছর ধরে অরাজনৈতিক ও সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে, তাদের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা দায়িত্ব পালনে সৎ ও নিরপেক্ষ।

জামায়াতের দাবি, বিএনপির অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং এমন মন্তব্য নির্বাচনকে ঘিরে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।

২৩ অক্টোবর দলটির একটি প্রতিনিধিদল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করে অভিযোগ তোলে যে কিছু ব্যাংক কর্মকর্তা রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট হতে পারেন, তাই তাঁদের ভোটের দায়িত্বে রাখা উচিত নয়। বৈঠক শেষে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান জানান, নির্বাচন কমিশনও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।

ফাঁস হওয়া কথোপকথনের সঙ্গে যাঁর নাম এসেছে-মো. আব্দুল জলিল ইসলামী ব্যাংকের একজন ইন্ডিপেনডেন্ট ডিরেক্টর। ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগ দেওয়ার পর তিনি ১৯৮৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। পরে আল–আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ডিএমডি হিসেবে ২০১৭ সালে অবসর নেন। ব্যাংকিং, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনায় তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ রয়েছে ইসলামী ব্যাংকের অফিসিয়াল প্রোফাইলে।

অডিও ফাঁসের দাবির পরও ইসলামী ব্যাংক, জামায়াতে ইসলামী কিংবা নির্বাচন কমিশন-কেউই এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি। অভিযোগের সত্যতা যাচাই বা তদন্ত করা হবে কি না, তাও স্পষ্ট নয়।

তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে এমন অভিযোগ ও আলোচনা স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে।

এসএইচ