মানবপাচারের ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বাংলাদেশ

  • সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০১৬, ০৮:২১ পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ শুধু জনশক্তি রপ্তানিকারক দেশই নয়, মানবপাচারের ট্রানজিট রুট হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে আসছে বলে জানালেন পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক। তিনি বলেন, প্রতি বছরই বাংলাদেশে ৬০ হাজার থেকে এক লাখ বিদেশিকে দেখা যায়। তারা সবাই শুধুমাত্র চাকরি বা ব্যবসার জন্য এদেশে আসেন না। একই সঙ্গে মায়ানমারের নাগরিকরাও বাংলাদেশ হয়ে বিভিন্ন দেশে অভিবাসন করছেন। এছাড়া শরণার্থীদের আশ্রয়দাতা হিসেবেও বাংলাদেশ পরিচিত। আসন্ন দশম গ্লোবাল ফোরাম ফর মাইগ্রেশন ডেভেলপমেন্ট (জিএফএমডি) সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আজ সোমবার এসব কথা জানান তিনি। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব খন্দকার ইফতেখার হায়দার চৌধুরীও সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন। চলতি বছরে (২০১৬) জিএফএমডি’র সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ। সারা বছর জুড়েই এর কর্মকাণ্ড চলবে। এ উপলক্ষে আগামী ২০ ও ২১ জানুয়ারি বাংলাদেশ সফর করবেন জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক বিশেষ দূত। তিনি সরকারি প্রতিনিধি, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। তাছাড়া বাংলাদেশের উদ্যোগে নিউইয়র্ক, জেনেভা ও ব্যাংককে তিনটি পৃথক অভিবাসন বিষয়ক থিমেটিক ওয়ার্ক আয়োজন করা হবে। সেখানে অভিবাসন সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণ থাকবে বলে সংবাদ সম্মেলননে জানানো হয়। মোটা দাগে জিএফএমডি’র বছরব্যাপী কর্মকাণ্ডে তিনটি বিষয় গুরুত্ব পাবে। এগুলো হলো অভিবাসন ও উন্নয়নে অর্থনৈতিক প্রেক্ষিত, সামাজিক প্রেক্ষিত এবং সুশাসন। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, অভিবাসন-সুশাসনকে যেভাবে দেখা হচ্ছে, সেভাবেই দেখা হলে সমস্যা থেকে যাবে। বাংলাদেশ নতুন সুশাসন কৌশল নির্ধারণে গুরুত্বে দেবে। জিএফএমডি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নতুন প্লেয়ার হিসেবে স্থান করে নেবে। তিনি বলেন, অভিবাসন কোনো সহজ ইস্যু নয়, এটা ভূরাজনীতি এবং উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত। এ দু’টি বিষয়কে সমন্বয় করাই আমাদের মূল লক্ষ্য থাকবে। বাংলাদেশের নেতৃত্বের লক্ষ্য থাকবে, আন্দামান বা ভারত মহাসাগরে অবৈধ অভিবাসনের ঘটনা কমে যাওয়া। এক্ষেত্রে একটি পর্যবেক্ষণও করা হবে, যার লক্ষ্য হচ্ছে, মানুষ কি কারণে অভিবাসন করেন এবং করেন না, তা বের করা। কিভাবে অভিবাসন এবং উন্নয়ন একই মাত্রায় চলতে পারে তা খুঁজে বের করাও থাকবে বাংলাদেশের নেতৃত্বের অন্যতম লক্ষ্য। এবারের সম্মেলনে বিশেষভাবে অভিবাসীদের অধিকারের কথা তুলে ধরা হবে। প্রবাসী কল্যাণ সচিব জানান, আগামী ১০-১২ ডিসেম্বর ঢাকায় জিএফএমডি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে ১৬০টি দেশের মন্ত্রী এবং প্রতিনিধি পর্যায়ের অংশগ্রহণ আশা করা হচ্ছে। ১০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মেলনটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। এর আগে ৮ ও ৯ ডিসেম্বর অভিবাসন বিষয়ক সুশীল সমাজ দিবস পালন করা হবে। যেখানে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনেরও যোগ দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব। 

সোনালীনিউজ/এমএইউ