‘সবার জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৭, ০৫:০০ পিএম

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মিলিনিয়াম ডেভলপমেন্ট গোলের(এমডিজি) অধিকাংশ লক্ষ্যমাত্রা বাংলাদেশ অর্জন করেছে। আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত নেয়া টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য ই-নাইনভুক্ত দেশগুলোর পরিকল্পনা প্রণয়ন করা উচিত বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

রোববার(৫ ফেব্রুয়ারি)রজধানীর এক পাঁচ তারকা হোটেলে তিন দিনব্যাপী ‘ই-৯ মিনিস্ট্রিয়াল মিটিং অন এডুকেশন-২০৩০’ শীর্ষক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছে। এর উদ্বোধন ঘোষণা করার সময়ে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। 

বিশ্বের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা অধ্যুষিত নয়টি উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষাবিষয়ক একই লক্ষ্যসমূহ নিয়ে এই সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে।

প্রধামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসডিজি-৪-এর মূল লক্ষ্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা ও জীবনব্যাপী শিক্ষার প্রসার। এসব বৈশ্বিক আকাঙ্ক্ষা মনে রেখে আমি আশাবাদী যে এখানে উপস্থিত শিক্ষাবিদ এবং নীতি নির্ধারকেরা ‘এসডিজি-৪-এডুকেশন ২০৩০’ লক্ষ্যমাত্রার বিষয়ে নিজ নিজ দেশের আকাঙ্ক্ষা, অঙ্গীকার, প্রাধিকারের বিষয়গুলো আলোচনা করবেন এবং এই নয়টি দেশের জন্য প্রয়োজনীয় সুপারিশমালা প্রণয়ন করবেন। তিনি বলেন, সংস্কৃতি, ধর্ম, বর্ণ ও ভাষার বিভিন্নতা সত্ত্বেও বর্তমানে আমরা এমন একটি বিশ্বে বসবাস করছি যেখানে সবাই একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। পারস্পরিক বোঝাপড়া, সহিষ্ণুতা ও বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিতে শিক্ষা সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করতে
পারে।

টেকসই উন্নয়ন ও ২০৩০-এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য এই ই-নাইন বড় ভূমিকা রাখবে। আর সে কারণেই ৯টি দেশের এই লক্ষ্য অর্জনে করণীয় সম্পর্কে পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। এমডিজি'র অধিকাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। জেন্ডার সমতা ও প্রাইমারি স্কুলে নিবন্ধন করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জিত হয়েছে। উপবৃত্তি কর্মসূচিসহ আরো অনেক কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। যাতে শিক্ষাক্ষেত্রে সার্বজনীনতা নিশ্চিত করা যায়।
 
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিশ্বকে অস্থির করে তুলছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ থেকে বিশ্বকে রক্ষার জন্য দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা করা উচিত। আমরা পাঠ্য-পুস্তক ও শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমানে শিক্ষা খাতে আমরা সবচাইতে বেশি বরাদ্দ দিয়ে থাকি। অনুষ্ঠানে ই-৯-এর নতুন চেয়ারপারসন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান এবং ইউনেসকোর মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা বক্তব্য দেন।

উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালে ভারতের দিল্লিতে ইএফএ সম্মেলনের মাধ্যমে নয়টি দেশ নিয়ে ই-৯–এর জন্ম হয়। সদস্য রাষ্ট্রগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ, ব্রাজিল, চীন, মিসর, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, নাইজেরিয়া ও পাকিস্তান।

সোনালীনিউজ/আতা