সব দলের সহযোগিতা চাইলেন নতুন সিইসি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৭, ১০:২১ এএম

ঢাকা : দেশের পরবর্তী প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘এটা অনেক বড় দায়িত্ব ও ভালো দায়িত্ব। সকল রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যমসহ সবার সহযোগিতা চাই।’ নতুন সিইসি বলেছেন, রাষ্ট্রপতি আমাকে সাংবিধানিক গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেয়ায় আমি কৃতজ্ঞ। আমি নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করব। সংবিধান ও আইন মেনে  নিরপেক্ষভাবে নির্বাচনগুলো পরিচালনা করব। 

ইসির সব সদস্যকে  নিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাজ করবেন বলে জানান ৬৯ বছর বয়সী মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হুদা।

সোমবার রাত ১১টার দিকে এ প্রতিক্রিয়া জানান কে এম নুরুল হুদা। সাবেক এই সচিব বলেন, শপথ নেওয়ার পর অন্য কমিশনারদের সঙ্গে পরামর্শ করে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। নুরুল হুদার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন অন্য চার নির্বাচন কমিশনার সাবেক সচিব মো. রফিকুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী।

সোমবার রাতে সচিবালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব  বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে পাওয়া নাম দিয়ে সার্চ কমিটি  ১০ জনের তালিকা চূড়ান্ত করে।  

এর মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সাবেক সচিব কেএম নুরুল হুদা এবং সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদারের নাম ছিল। এ তালিকায়  নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আছে আটজনের নাম । তারা হলেন সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক ড. জারিনা রহমান খান, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ কবিতা খানম, পরিকল্পনা কমিশনের সাবেক সদস্য আবদুল মান্নান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী এবং অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বিটিএফও।  

এ তালিকা থেকেই রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং চার কমিশনার নিয়োগ দেন।  
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ১০ জনের চূড়ান্ত তালিকায় আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির দেয়া চারজনের নাম আছে। আওয়ামী লীগ থেকে অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ কবিতা খানম, পরিকল্পনা কমিশনের সাবেক সদস্য আবদুল মান্নানের নাম দেয়া হয়। সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার এবং স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদের নাম দেয় বিএনপি।  

আওয়ামী লীগের তালিকা থেকে অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ কবিতা খানম এবং বিএনপির তালিকা থেকে সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদারকে কমিশনার পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

এদিকে বিএনপি নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়ে হতাশ হয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। আওয়ামী লীগ নতুন ইসিতে আস্থা আছে বলে জানিয়েছে। 

নতুন সিইসি কেএম নুরুল হুদা বিসিএস ১৯৭৩ সালের একজন সদস্য হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। ২০০৬ সালে বাংলাদেশ সরকারের সচিব হিসেবে চাকরি থেকে অবসরে যান। সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে কাজ শুরুর পর কুমিল্লা ও ফরিদপুরের জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেছেন । ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় এবং সংসদ সচিবালয় যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিবের দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।

২০১০ সালে যোগ দেন বাংলাদেশ মিউনিসিপাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ডে (বিএমডিএফ)। এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে ছিলেন পাঁচ বছর। এর আগে জেমকন গ্রুপের পরিচালক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ), নর্থ ওয়েস্ট জোন কোম্পানির চেয়ারম্যান বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। যুক্তরাজ্যের ম্যানচেষ্টার ইউনিভর্সিটি ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নেন নুরুল হুদা। 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই