ঢামেকে শ্লীলতাহানী ও অনিয়মে আটক ২

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৭, ০৯:৩১ পিএম

ঢাকা: রোগীর নারী আত্মীয়কে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে রইজউদ্দিন রানা (৪০) নামে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের এক ক্লিনারকে আটক করেছে পুলিশ। তাকে থানায় নিয়ে রাখা হয়েছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারির রাতের ঘটনায় তাকে আটক করা হয়। অপরদিকে রোগিদের অভিযোগে এক ওয়ার্ডবয়কে আটক করেছে পুলিশ।

অভিযোগের পরে বৃহষ্পতিবার(৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রানাকে আটক করে ঢামেক ক্যাম্প পুলিশ।

এদিকে নানা অনিয়মের অভিযোগে ঢামেক হাসপাতালের বার্ণ ইউনিট থেকে মো. শহিদ (৩৫) নামে এক স্পেশাল ওয়ার্ড বয়কে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দুপুরে তাকে থানায় নিয়ে যান শাহাবাগ থানার এসআই জাহাঙ্গীর। শ্লীলতাহানীর শিকার নারীর বরাত দিয়ে ঢামেক পুলিশ জানায়, ওই নারীর এক স্বজন ২২১ নং ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। বুধবার রাতে সবাই ঘুমিয়ে গেলে মুখ চেপে ওই নারীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন রানা। একপর্যায়ে তিনি চিৎকার দিলে রানাকে ধরে মারধর করে ছেড়ে দেয় ওয়ার্ডের লোকজন। বিষয়টি ভুক্তভোগী নারী পুলিশকে জানায়। বিকালে অভিযুক্ত রানা ওই ওয়ার্ডে আসলে তাকে আটক করা হয়।

তবে আটক রানা অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে জানান, তিনি ঢামেকে ৮/১০ বছর ধরে স্পেশাল বয় হিসেবে কাজ করে আসছেন। বহিঃবিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার মোহাম্মদ রিয়াজের তত্ত্বাবধানে গত ৪/৫ মাস ধরে ২২১ নং ওয়ার্ডে ধোয়া-মোছার কাজ করছিলেন। বুধবার মধ্যরাতে ওই ওয়ার্ডে অন্ধকার থাকায় কাজ করার সময় অভিযোগকারী নারীর সঙ্গে তার ধাক্কা লাগে। এর বেশী কিছু ঘটেনি সেসময়।

বহিঃবিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার মোহাম্মদ রিয়াজ জানান, এক রোগীর নারী স্বজনের গায়ে হাত দেওয়ার খবর পেয়ে রানাকে ওয়ার্ড থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল বুধবার রাতেই। আজ শাহাবাগ থানার এসআই জাহাঙ্গীর তাকে আটক করে শাহবাগ থানায় নিয়ে গেছেন।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, অনিয়মের অভিযোগে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া ওয়ার্ড বয় শহিদের বাবার নাম আইনুদ্দিন। গ্রামের বাড়ি জামালপুরের শ্রীপুরে। তিনি প্রায় ৭/৮ বছর ধরে হাসপাতালে কর্মরত। বার্ণ ইউনিটে রোগীর রক্তে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো হাসপাতালের প্যাথলজিতে করিয়ে আনা ছিলো তার কাজ। এ সুযোগে তিনি নির্ধারিত (ফি) টাকার পরিমানের চেয়ে বেশি টাকা আদায় করতেন রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে।

কর্তব্যরত চিকিৎসক এক রোগীর ব্যবস্থাপত্র দেখতে গিয়ে জানতে পারেন, পরিক্ষার রির্পোটগুলোর কাগজে কোনও চিকিৎসকের সাক্ষর নেই, এমনকি এই রির্পোটগুলো যে হাসপাতালের, তারও কোনও প্রমানপত্র নেই। এরকম প্রায় রোগীরই একই অবস্থা। বিষয়টি জানাজানি হলে বিকালে রোগীর স্বজনরা স্বস্ব রোগীর ফাইল নিয়ে, হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন। এ সময় পরিচালক উপস্থিত না থাকলেও, ছিলেন উপপরিচালক ডা. মো. জাকির হোসেন। পরে তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

রোগীর স্বজনদের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে শহিদকে পুলিশে সোপর্দ করা ছাড়াও এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বার্ণ ইউনিটের স্পেশাল ওর্য়াড বয় শহিদের সঙ্গে আর কারা জড়িত তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে হাসপাতালের পক্ষ থেকে।

সোনালীনিউজ/আতা