‘জীবনের সর্বক্ষেত্রে সততা ও নৈতিকতা বজায় রাখবে’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ৪, ২০১৭, ০৩:৫৭ পিএম

ঢাকা: রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে জ্ঞান তোমরা অর্জন করেছ দেশ ও মানুষের কল্যাণে সেটা ভালোভাবে কাজে লাগাবে। জীবনের সর্বক্ষেত্রে সততা ও নৈতিকতা বজায় রেখে কাজ করবে- এটাই আমার প্রত্যাশা।

শনিবার (৪ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের খেলার মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আরও বলেন, ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গঠনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন প্রয়োজন।

তিনি বলেন, বর্তমানে বেশির ভাগ ছাত্রনেতার বয়স ৪৫ থেকে ৫০ বছর। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ছাত্রদের সঙ্গে মিশতে পারে না, তাই ডাকসুর মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করতে হবে। নেতৃত্ব নির্বাচনে অবশ্যই নিয়মিত ছাত্রদের বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।

বক্তব্য দেওয়ার আগে রাষ্ট্রপতি বিভিন্ন অনুষদের ডিনদের সুপারিশে ৬১ জনকে পিএইচডি, ৪৩ জনকে এমফিল ও ১৭ হাজার ৮৭৫ জনকে গ্র্যাজুয়েট হিসেবে স্বীকৃতি দেন। এরপর ৯৪টি স্বর্ণপদকের জন্য মনোনীত ৮০ জনকে পদক দেন।

পদক দেওয়ার পর বক্তব্য দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সমাবর্তন বক্তা অধ্যাপক অমিত চাকমা। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরিন আহমাদ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এনামউজ্জামানসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন।

অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট এবং উপাচার্য অধ্যাপক অমিত চাকমাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট অব সায়েন্স ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

এর আগে বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল প্রাঙ্গণ থেকে সমাবর্তনের শোভাযাত্রা শুরু হয়। বেলা সাড়ে ১১টায় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে শুরু হয় সমাবর্তনের মূল আনুষ্ঠানিকতা। সমাবর্তন উপলক্ষে শিক্ষার্থীরা সকাল থেকে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় অনুষ্ঠানস্থলে আসতে থাকেন। সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া কালো গাউন আর সমাবর্তন ক্যাপ পরে এসেছেন। জীবনের স্মরণীয় মুহূর্তকে ফ্রেমবন্দি করছেন তারা।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ