‘সম্পর্কের ভবিষ্যৎ দুই দেশের পানিবণ্টনে’

  • নিউজ ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ১০, ২০১৭, ১১:৫০ এএম

ঢাকা: বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে তিস্তাসহ বেশ কয়েকটি নদীর পানি বণ্টন নিয়ে যৌথভাবে কাজ করতে হবে দুই দেশকে। প্রতিশ্রুত তিস্তা চুক্তি হলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক রূপান্তরের আরো একটি পর্যায় অতিক্রম করবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চার দিনের ভারত সফরের শেষ দিন সোমবার (১০ এপ্রিল) সকালে নয়া দিল্লিতে ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেছেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করতে আমাদের যৌথ পানিসম্পদকে কাজে লাগাতে হবে। সব অভিন্ন নদীর পানিবণ্টনে অববাহিকাভিত্তিক একটি বিস্তৃত পরিকল্পনার মধ্যেই আমাদের যৌথ ভবিষ্যত নিহিত।’ 

ছয় বছর ধরে ঝুলে থাকা তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফরেও হয়নি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার ‘রাজ্যের স্বার্থের’ কথা বলে এখনও চুক্তির বিরোধিতায় অনড়। 

তবে দুই দেশের সম্পর্কের জন্য তিস্তা চুক্তি যে গুরুত্বপূর্ণ, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও তা স্বীকার করেছেন। শনিবার হাসিনার সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকের পর তিনি বলেছেন, দুই দেশের বর্তমান সরকারের মেয়াদেই তিস্তার পানি বণ্টন সমস্যার সমাধানে পৌঁছনো যাবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যত দ্রুত সম্ভব তিস্তার সমাধান করতে তার সরকারের আন্তরিক আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। আর তা বাস্তবায়ন হলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও একটি রূপান্তরের মাধ্যমে নতুন পর্যায়ে পৌঁছাবে।’    

ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে সাবেক উপ প্রধানমন্ত্রী এল কে আদভানিও উপস্থিত ছিলেন। 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা