রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য আরও ১৩০০ স্কুল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৭, ০৯:২৯ পিএম

ঢাকা: মিয়ানমার থেকে জীবন বাঁচিয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৬০ শতাংশই শিশু। এই শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশে স্কুল নির্মাণ ও তাতে পড়াশুনা চালিয়ে আসছে জাতিসংঘের সংস্থা ইউনিসেফ। অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে শিশুদের জন্য ইতিমধ্যে ১৮২টি স্কুল পরিচালনা করে আসছে।

নতুন করে আসা রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য আরও এক হাজার ৩০০ স্কুল করার ঘোষণা দিয়েছে ইউনিসেফ।

শুক্রবার(২৯ সেপ্টেম্বর) ইউনিসেফ এ তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি উল্লেখ করেছে, বর্তমানে ইউনিসেফ কক্সবাজারে যে স্কুলগুলো পরিচালনা করে আসছে, তাতে দেড় হাজারের মত শিশু শিক্ষা লাভ করছে।

আগামী বছরের মধ্যে এ পরিধি বৃদ্ধি করে ২ লাখ রোহিঙ্গা শিশুকে এই কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা আছে ইউনিসেফের।সংস্থাটির বাংলাদেশ প্রতিনিধি এডওয়ার্ড বেগবেডার বলেন, এই সংকপূর্ণ সময়ে রোহিঙ্গা শিশুরা অনেক বেশি ভুক্তভোগী। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে এই সময়ে তাদের নিরাপদ ও প্রাকৃতিক পরিবেশে শিক্ষার সুযোগ দেয়া উচিত।

তিনি আরও বলেন, এখনই তাদের পর্যাপ্ত স্বাভাবিক জ্ঞানের প্রয়োজন, যাতে তারা তাদের ভবিষ্যত গড়তে পারে।  

স্কুলগুলোতে ৪ থেকে ৬ বছরের শিশুদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা এবং ৬ থেকে ১৪ বছরের শিশুদের জন্য অনানুষ্ঠানিক মৌলিক শিক্ষা দিচ্ছে। প্রতিটি স্কুল তিন শিফটে চালানো হয় এবং প্রতি শিফটে ৩৫ শিশুর শিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে।  

স্কুলগুলোতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বার্মিজ, বিজ্ঞান এবং মানবিক বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। শিশুদের স্বাস্থ্যগত ও জীবনমুখী দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য মানসিক কাউন্সিলিং দেয়া হচ্ছে। শিশুদের মাঝে বই, কলম, পেন্সিল, রং পেন্সিল, স্কুল ব্যাগসহ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হচ্ছে।  

প্রসঙ্গত, গত ২৫ আগস্ট থেকেই মিয়ানমার সরকার ও দেশটির সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের উপর গণহত্যা, ধর্ষণ ও সম্পদ লুট চালাচ্ছে। জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া শুরু করেছে তারা। জাতিসংঘের হিসাবে এই সময়ে প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের কক্সবাজারের ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা