পত্রিকা কেটে নয়, সরকারকে ই-ক্লিপিংয়ে পরামর্শ ইসির

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০১৭, ০১:৫৬ পিএম

ঢাকা : ডিজিটাল বাংলাদেশের এ যুগেও পত্রিকা কেটে গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ, নিবন্ধ বা যেকোনো ধরনের লেখা সংরক্ষণ করে সরকারি দফতরগুলো। যে কাজটি সরকারের হয়ে করে থাকে তথ্য মন্ত্রণালয়। তাই অর্থ অপচয়রোধ, সময় বাঁচানো এবং শ্রম কমাতে সরকারকে পত্রিকার পাতা কেটে হার্ড কপি সংরক্ষণের পরিবর্তে ই-ক্লিপিংয়ের পরামর্শ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

ইসি সূত্র জানিয়েছে, প্রতিদিন তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পেপার কেটে ক্লিপিং করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও রাষ্ট্রীয় দফতরগুলোতে ফাইল আকারে পাঠায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অধিদফতর। নির্বাচন কমিশনেও এমন পেপার কিপ্লিং পাঠানো হয়। বিষয়টি নজরে আসায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা ই-ক্লিপিংয়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। একইসঙ্গে তিনি ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদকে এ সংক্রান্ত পরামর্শ পাঠানোর নির্দেশা দেন।
সিইসি’র নির্দেশনার পর হেলালুদ্দীন আহমদ প্রধান তথ্য কর্মকর্তা কামরুন নাহারকে এ সংক্রান্ত একটি আধা সরকারি পত্র পাঠিয়েছেন।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে- দেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিত্যদিনের পরিবেশিত সংবাদ, নিবন্ধ, সম্পাদকীয়, উপ-সম্পাদকীয় ও চিঠির মাধ্যমে সরকারের নীতি ও কার্যক্রমের পর্যালোচনা প্রতিদিন পেপার কাটিং করে আপনার দপ্তর থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্ত দপ্তরগুলোতে পাঠানো হয়। নিত্যদিন জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো সবার দৃষ্টিতে আসার পাশাপাশি আন্তঃমন্ত্রণালয় যোগাযোগও রক্ষা হয়।

সরাসরি পত্রিকার হার্ডকপি থেকে সংশ্লিষ্ট সংবাদ কেটে তথ্য সংগ্রহ করলে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট সংবাদগুলো গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবেও বিবেচিত হয়। তবে বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে ম্যানুয়ালি পেপার কাটিং না করে অনলাইন থেকে প্রতিদিনের প্রকাশিত পত্র-পত্রিকার সংবাদ, নিবন্ধ প্রভৃতি ই-ক্লিপিংয়ের মাধ্যমে সংগ্রহ করা যায় কিনা এ ব্যাপারটি ভেবে দেখা যায়। কেননা, প্রতিদিন যেসব পত্রিকা বের হয় তার একটি অনলাইন ভার্সন থাকে।

পত্রে আরো উল্লেখ করা হয়, এ বিষয়ে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের বাস্তবভিত্তিক অভিজ্ঞতা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় প্রতিদিন জাতীয় দৈনিক ও কিছু অনলাইন নিউজপোর্টালে নির্বাচন, নির্বাচন কমিশন ও এর কার্যাবলী সম্পর্কে  যে সংবাদ, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ছাপে তা ই-ক্লিপিংয়ের (পেপার ক্লিপিং) মাধ্যমে কমিশনের নিজস্ব ইন্টার্নাল সাইটে প্রকাশ এবং তা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়সহ মাঠপর্যায়ের সব কার্যালয় (৫১৭টি উপজেলা, ৬৪টি জেলা এবং ১০টি আঞ্চলিক কার্যালয়) একইসঙ্গে  ক্লিপিংসটি দেখতে পারে।

জনস্বার্থে সময়, অর্থ ও শ্রমের অবসানে আমাদের এ ই-ক্লিপিংস (পেপার ক্লিপিংস) পদ্ধতিটি আপনার অধিদপ্তর গ্রহণ করতে চাইলে আমরা আপনাকে সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক। এ বিষয়ে পরিচালক (জনসংযোগ) নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আপনাকে সার্বিক সহযোগিতা করতে পারেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই