রাস্তায় সন্তান জন্ম: প্রতিবেদনে হাইকোর্টের সন্দেহ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০১৭, ০৫:৩৪ পিএম

ঢাকা: হাসপাতালে সেবা না পেয়ে রাস্তায় সন্তান প্রসব এবং নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পক্ষে দাখিল করা সরকারি প্রতিবেদনে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই প্রতিবেদনের যথার্থতার বিষয়ে সন্দেহ আছে বলে মন্তব্য করেছেন আদালত।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

আদালতে প্রতিবেদন দাখিল ও এর ওপর শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস। অন্যদিকে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ ও আনিসুল হাসান।

পরে সেগুফতা তাবাসসুম  গণমাধ্যমকে বলেন, ভিকটিম পারভিন আক্তারের সন্তান প্রসবকালে যেসব ঘটনা ঘটেছিল, আদালত সে বিষয়ে জানতে চেয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজের সংশ্লিষ্টদের সোমবার প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছিলেন। এ কারণে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

কিন্তু ওই প্রতিবেদনের ওপর অসন্তোষ প্রকাশ এবং প্রতিবেদন সম্পর্কে যথেষ্ট সন্দেহ আছে বলে মন্তব্য করেন আদালত। এমনকি আদালত রাষ্ট্রপক্ষের ওই প্রতিবেদনের তথ্য পরস্পরবিরোধী বলেও মন্তব্য করেন। এরপর আদালত এ মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন।

প্রসঙ্গত, এর আগে পারভীন আক্তার নামে এক নারীর প্রসব বেদনা ওঠার পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং সর্বশেষ আজিমপুর শিশু মাতৃসদনে গিয়েও চিকিৎসা না পাওয়ায় রাস্তার ওপরেই সন্তান প্রসব করেন। এর কিছুক্ষণ পরই নবজাতকের মৃত্যু হয়।

পরে ওই ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর ডিভিশন বেঞ্চ পত্রিকায় প্রকাশিত ওইসব প্রতিবেদন আমলে নিয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল দেন।

হাসপাতালে সেবা না পেয়ে রাস্তায় সন্তান প্রসব এবং নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় এক নারীকে কেন উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে গত ১৯ অক্টোবর ওই রুল জারি করা হয়। একইসঙ্গে ওই নারীকে চিকিৎসা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় দোষীদের বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

এছাড়া সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এবং আজিমপুর শিশু মাতৃসদনের সুপারকে ঘটনার তদন্ত করে ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।

এরপর সোমবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজের পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করা হলে আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৭ নভেম্বর মামলার দিন ধার্য করেন।

সোনালীনিউজ/আতা