নগরবাসীকে কাঁদিয়ে চির নিদ্রায় আনিসুল হক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০১৭, ০৫:০৬ পিএম

ঢাকা: নগরবাসীকে কাঁদিয়ে চির নিদ্রায় শায়িত হলেন মেয়র আনিসুল হক। শনিবার (২ ডিসেম্বর) বাদ আসর রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। 

এর অগে আর্মি স্টেডিয়ামে তার জানাজা নামাজে অংশ নেন বন্ধু, স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। প্রিয় নগরপিতার জানাজায় অংশ নেন নগরবাসী। এ সময় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে বনানীর বাসা থেকে আনিসুল হকের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি বের হয়ে বেলা সাড়ে ৩টায় আর্মি স্টেডিয়ামে পৌঁছায়।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেয়রের মরদেহ বহনকারী বিমানটি সিলেটে এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। এরপর বেলা ১টার দিকে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় ফ্লাইটটি। পরে সেখান থেকে বেলা ১টা ২০ মিনিটের দিকে তার মরদেহ বনানীতে তার নিজ বাসায় নেয়া হয়।

মরদেহ বাসায় পৌঁছার পর দুপুর ১টা ৫২ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনিসুল হকের বাসায় যান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী মেয়র আনিসুল হকের বাসায় বেশ কিছুক্ষণ অবস্থান করেন। তিনি শোক সন্তপ্ত পরিবারকে সান্ত্বনা দেন।

বনানীর ২৩ নম্বর সড়কের এই বাসা থেকেই গত ২৯ জুলাই নাতির জন্ম উপলক্ষে ব্যক্তিগত সফরে সপরিবারে লন্ডনে যান আনিসুল হক। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে ১৩ আগস্ট তাকে লন্ডনের ন্যাশনাল নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার মস্তিষ্কে প্রদাহজনিত রোগ ‘সেরিব্রাল ভাস্কুলাইটিস’ শনাক্ত করেন চিকিৎসকরা। প্রায় সাড়ে তিন মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর গত বৃহস্পতিবার মারা যান তিনি।

গত শুক্রবার বাদ জুমা আনিসুল হকের প্রথম জানাজা লন্ডনের রিজেন্ট পার্ক সেন্ট্রাল মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি, কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা অংশ নেন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও জানাজায় উপস্থিত ছিলেন।

সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে এফবিসিসিআই-এর সভাপতি ছিলেন আনিসুল হক। ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন তিনি।

সোনালীনিউজ/জেএ