ডিআইজির নারী কেলেঙ্কারি: দুই সাংবাদিককে হত্যার হুমকি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০১৮, ১০:৪০ পিএম

ঢাকা: জোর করে উঠিয়ে এক নারীকে বিয়ে করাসহ বিভিন্ন অভিযোগের সংবাদ প্রকাশ করায় দুই সাংবাদিককে হত্যার হুমকি দিয়েছেন প্রত্যাহার হওয়া ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার(ডিআইজি) মিজানুর রহমান।

পুলিশের উচ্চ পদে থাকা একজন কর্মকর্তা এমন হুমকি দেয়ায় চরম নিরাপত্তায়হীনতায় ভুগছেন দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার নেসারুল হক খোকন। তিনিই প্রথম তথ্যবহুল এ সংবাদটি নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করেন। একই দিনে যমুনা টিভির সাংবাদিক আব্দুল্লাহ তুহিনকে এ হুমকি দেয়া হয়েছে টিভি রিপোর্ট করায়।

এ ঘটনায় অপরাধ বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে। 

দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার নেসারুল হক খোকন বুধবার(১০ জানুয়ারি) ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘আমি স্তম্ভিত। চরম নিরাপত্তাহীন। আমাকে হত্যার পর আত্মহত্যার হুমকি দিলেন পুলিশ সদর দপ্তরে প্রত্যাহার হওয়া ডিআইজি মিজান। আশা করি সরকার আমার নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করবে। এভাবে হত্যার হুমকি দেওয়ায় আমি পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তার কাছে বিচার দিলাম।’

পরে নেসারুল হক খোকন জানিয়েছেন, এই হুমকির বিষয়টি তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আছাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে দেখা করে অবহিত করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওই সময় ওই পুলিশ কর্মকর্তার হুমকির অডিও রেকর্ডও শুনেছেন। বিষয়টি তিনি দেখছেন বলে তাকে আশ্বস্ত করেছেন।

এদিকে ক্র্যাব সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক সারোয়াল আলম এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, ‘সংবাদ প্রচার-প্রকাশ করায় পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান মঙ্গলবার (০৯ জানুয়ারি) রাতে দু’জন পেশাদার সাংবাদিককে ফোন করে গুলি করে হত্যার যে হুমকি দিয়েছেন, তা শুধু অপেশাদার আচরণই নয়, রীতিমতো ক্ষমতার অপব্যবহার, ধৃষ্টতা এবং সীমা লংঘনের সামিল। বিষয়টি প্রচলিত আইনে ফৌজদারি অপরাধ। এটি অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকরা যে পুলিশি হয়রানির শিকার হচ্ছেন- এ ঘটনা তার আরেকটি জ্বলন্ত প্রমাণ।’

এছাড়া যে দুই সাংবাদিককে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ডিআইজি মিজানুর রহমানের লাইসেন্সকৃত ব্যক্তিগত পিস্তল পুলিশের হেফাজতে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। 

প্রসঙ্গত, অস্ত্রের মুখে জোর করে এক নারীকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করা ও নির্যাতনের ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর ডিআইজি মিজানকে ডিএমপি থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে।

সোনালীনিউজ/আতা