প্রযুক্তির সহায়তায় জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল সংগ্রহের উদ্যোগ

তিন ঘণ্টায় ৩০০ আসনের ফল ঘোষণা করবে ইসি!

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০১৮, ০২:০১ পিএম

ঢাকা : একাদশ জাতীয় নির্বাচনে দ্রুত ফলাফল সংগ্রহের জন্য প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে কমিশন বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ফলাফল সংগ্রহ করেছিল একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ায়। তখন প্রতিটি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে ফলাফল জমা দিতে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যেতে হতো। এসব জটিলতা শেষে ফলাফল নির্বাচন কমিশনের সফটওয়্যারে দেওয়া হতো এবং রিটার্নিং কর্মকর্তারা সফটওয়্যার ব্যবহার করে ফলাফল ঘোষণা করতেন।

এ জন্য একাদশ জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল সংগ্রহে কমিশন প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে। অনলাইনের মাধ্যমে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের নির্বাচনের ফলাফল সরাসরি সংগ্রহের জন্য প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের ট্যাব দেওয়ার পাশাপাশি বিদ্যমান নির্বাচনী ফলাফলের সফটওয়্যার হালনাগাদের পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন।

পরিকল্পনাটি শেষপর্যন্ত বাস্তবায়িত হলে দেশের মোট ৩০০ আসনের মধ্যে অধিকাংশের বেসরকারি ফলাফল দুই থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যেই ঘোষণা করা যাবে বলে জানিয়েছে কমিশন।

সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের ‘জাতীয় পরিচয়পত্রে ভোটার তালিকা ও নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার’ শীর্ষক বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ও নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী। পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে কমিশনের বৈঠকে প্রস্তাবটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, এ পদ্ধতিতে একজন প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে ট্যাব ব্যবহার করে নির্বাচনী ফলাফলের পরিসংখ্যান এবং সফটওয়্যারে সমস্ত ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্টের সই করা ফলাফল শিটের একটি স্ক্যান করা কপি সংযুক্ত করতে হবে। সফটওয়্যারের পরিসংখ্যান এবং স্ক্যান কপি ইলেকট্রনিকভাবে মিলে গেলে কমিশন ফলাফল গ্রহণ করবে।

শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, দেশের প্রায় ৪০ হাজার ভোটকেন্দ্রের জন্য মোট ৪২ হাজার ট্যাবলেট প্রয়োজন হবে। বিদ্যমান সফটওয়্যারটি আপডেট করা অপরিহার্য বলে প্রস্তাব দেয় কমিটি। পাশাপাশি কিছু এলাকা নির্ধারণ করা হয় যেখানে নির্বাচনী প্রক্রিয়া এবং ফলাফল সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় গতি আনতে প্রযুক্তির ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন- অনলাইনে মনোনয়ন জমা, নির্বাচন কর্মকর্তাদের ব্যবস্থাপনা, নির্বাচন পর্যবেক্ষক ব্যবস্থাপনা, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ঝুঁকির বিশ্লেষণ, ভোটকেন্দ্রের স্থান ও ফলাফলের জন্য জিআইএস আবেদন প্রভৃতি।

দেশের সব এলাকায় হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ক্রয় এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আনুমানিক ৫০ কোটি টাকা প্রয়োজন বলে জানায় কমিটি।

সোনালীনিউজ/এমটিআই