ঢাকা: ২০১৯ সালের আগস্ট থেকে নভেম্বরের মধ্যে পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরু করা যাবে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান। আর জটিলতা দেখা দেয়া ২২ পিলারের চূড়ান্ত নকশার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর পর্যন্ত। নকশা জটিলতায় সেতুর কাজ ডিসেম্বরে শেষ হচ্ছে না, বলছেন প্রকল্প পরিচালক।
পদ্মার তলদেশের গভীরে কাদা মাটির স্তর থাকায় ১৪টি পিলার বসানোয় দেখা দেয় জটিলতা। প্রকৃতি সৃষ্ট এই সংকট সমাধানের দায়িত্ব দেয়া হয় ব্রিটিশ ও কোরিয়ান পরামর্শকসহ কয়েকটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে।
পরে প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকে বসে প্রকল্পের বিশেষজ্ঞ দল। এতে আসে ২২টি পিলারে একটি করে পাইল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত। ছয়টি পাইল কিছুটা বাঁকা, আর সাত নম্বর পাইল বসবে সোজাসোজি। এছাড়া কমবে গভীরতাও। এই পরিবর্তনে পাইলের সংখ্যা ২৪০ থেকে বেড়ে হচ্ছে ২৬২টি।
এসব সিদ্ধান্তের পর কিছু পিলারের নকশা দেয়া হয়েছে ঠিকাদারকে। তবে, জটিলতা রয়ে গেছে অর্ধেকের বেশির সেসবের বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্যও থাকতে হচ্ছে অপেক্ষায়।
এ অবস্থায় আগামী ডিসেম্বরে সেতুতে যান চলাচল প্রায় অসম্ভব। নকশা জটিলতায় কাজ পেছানোর কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরাও।
সেতু বিভাগ জানাচ্ছে মার্চ পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৫৩ আর মূল সেতুর অগ্রগতি ৫৯ শতাংশ। এছাড়া নদী শাসনের কাজ হয়েছে ৩৬.৫ ভাগ।
সোনালীনিউজ/জেডআরসি/আকন