সংসদে আইনমন্ত্রী

মামলার জট কমাতে সরকারের উদ্যোগ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০১৮, ১০:৫৩ পিএম

ঢাকা : দেওয়ানি আদালতে মামলার জট কমাতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ ক্ষেত্রে সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

রোববার (২৪ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ কথা জানান। আনিসুল হক বলেন, ‘পুরনো দেওয়ানি মামলাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে প্রত্যেক আদালতে সমন জারি নিশ্চিত এবং দ্রুততম সাক্ষ্য গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পুরনো মামলাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সলিসিটরের নেতৃত্বে মনিটরিং সেল কাজ করছে।’

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে এ-সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী। জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, মামলার জট নিরসন করার লক্ষ্যে সাক্ষ্য গ্রহণ নিরবচ্ছিন্ন করা, তিন বছরের অধিক পুরনো মামলা অপরিহার্যতা ছাড়া মুলতবি না দেওয়া ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পুরনো মামলা নিষ্পত্তির বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া মামলার সংখ্যাধিক্য ও বিচারপ্রার্থী জনগণের সুবিধার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে মামলার দীর্ঘসূত্রতা নিরসনে বিভিন্ন ব্যাচে ধারাবাহিকভাবে সহকারী জজ নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বিচারকের নতুন পদ সৃষ্টির প্রক্রিয়া নেওয়া হচ্ছে।  

আইনমন্ত্রী জানান, বিচারব্যবস্থায় আধুনিক তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বিচারপ্রার্থী জনগণের সুবিধার্থে সরকার ইতোমধ্যে সুপ্রিম কোর্টসহ ১৩টি জেলায় ডিজিটাল সিপ্লেবোর্ডের মাধ্যমে আদালতের দৈনিক কার্যতালিকা প্রদর্শনের প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছে। দেওয়ানি আদালতের অবকাঠামো উন্নয়নে বিচারকদের যেন এজলাস শেয়ার করতে না হয়, সে লক্ষ্যে ২৭ জেলায় জজ আদালত ভবন সম্প্রসারণ করা হয়েছে। নিম্ন আদালতের বিচারকদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে বিচার প্রক্রিয়াকে গতিশীল করার লক্ষ্যে বিদেশে প্রশিক্ষণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় সরকারি খরচে অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৪০ জন বিচারকের প্রশিক্ষণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ২২৩ বিচারক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এ ছাড়া দেশ-বিদেশে বিচারকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের কেস ম্যানেজমেন্টের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, আইন কমিশনকে শক্তিশালী, কার্যকর ও গতিশীল করার লক্ষ্যে তিনটি পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। বাড়িভাড়া বিষয়ে আওয়ামী লীগের মাহমুদ-উস সামাদ চৌধুরীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক জানান, বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়ার মধ্যে ভাড়া নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতি নিরসনের লক্ষ্যে ভাড়াটিয়াদের সুযোগ-সুবিধার দিকে খেয়াল রেখে বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৯১ পাস হয়।

এ আইনে বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়ার মধ্যে সম্পর্ক বিনষ্টকারী ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সুনির্দিষ্ট বিধান রয়েছে। এ আইনে গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজার মামলা আদালতে বিচারাধীন। একই বছর নিষ্পত্তি হয়েছে ৫৬৫টি মামলা।  

সোনালীনিউজ/এমটিআই