‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বাদ দিলে প্রতিরোধ

  • সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ২১, ২০১৬, ০২:৩৯ পিএম

চট্টগ্রাম অফিস

‘রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলাম ধর্মকে বাদ দেয়া হলে সাধারণ জনতাকে নিয়ে তা প্রতিরোধ করা হবে বলে হুঁশিয়ার করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

সোমবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারির কথা জানান সংগঠটির নেতারা।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে  আরো উপস্থিত ছিলেন, হেফাজতে ইসলামীর সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা মহিবুল্যাহ বাবুনগরী, যুগ্মমহাসচিব মাইন উদ্দিন রুহি প্রমুখ।

তারা বলেন, আদালত যদি রিটের পক্ষে রায় ঘোষণা করে তাহলে এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। আমরা এই রিটের প্রতিবাদে শুক্রবার বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনসহ কঠোর কর্মসূচি পালন করবো।

সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।

আগামী ২৫ মার্চ শুক্রবার সারাদেশে জুম্মার নামাজের পর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ পালন করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে বাদ দেয়ার আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে করা একটি রিটের শুনানি আগামী ২৭ মার্চ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচী ঘোষণা করে মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, ‘এভাবে রাষ্ট্রধর্ম বাদ দেয়ার জন্য হাইকোর্টে রিট করা উদ্দেশ্যমূলক। আগেও এই নিয়ে একাধিক রিট হয়েছিল। তবে তা খারিজ করে দিয়েছিলেন আদালত। কিন্তু এবার কেন এই রিট শুনানির জন্য নেয়া হলো তা বোধ্যগম্য নয়।’

তিনি বলেন, ‘দেশের অধিকাংশ মানুষই চায় ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে বজায় থাকুক। নাস্তিকরা এই নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। এদের উদ্দেশ্য হলো ইসলাম ধর্মকে বাদ দিয়ে এই দেশে নাস্তিক্যবাদ প্রতিষ্ঠা করা।’

‘দেশের মানুষকে নিয়ে হেফাজতে ইসলাম নাস্তিকদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে,’ বলেন মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রধর্ম থাকবে কি থাকবে না সেটা মানুষের মতামতের বিষয়। প্রয়োজনে এই নিয়ে দেশে গণভোটের আয়োজন করা হোক।’

হেফাজত নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘পৃথিবীর অনেক দেশে ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে অন্তর্ভুক্ত। খ্রিস্টান ধর্মও অনেক দেশে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে স্বীকৃত। সেসব দেশে তো সংখ্যালঘু কিংবা ভিন্ন ধর্মের অনুসারীদেরকে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। বাংলাদেশেও রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।’

তারা বলেন, ‘হাইকোর্টের ঘাড়ে বন্দুক রেখে যদি রাষ্ট্র ধর্ম ইসলামকে বাদ দেয়ার কোনো ষড়যন্ত্র হয় তবে এটা ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে সরকারকে বিব্রত করার একটি অপকৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়। সরকারকে জনগণের ম্যানডেট বুঝতে হবে, জনগণের ভাষা বুঝতে হবে। এটা একটা ধর্মীয় ইস্যূ, এই ইস্যূতে বাংলাদেশের মুসলমান কোনো ছাড় দেবে না। সাধারণ মানুষ না খেয়ে থাকতে পারে। নামাজ, রোজা, হজ্জ না করতে পারে, কিন্তু ইসলাম ধর্মের উপর আঘাত সহ্য করতে পারে না। তারা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে হলেও ইসলামকে ধারণ করবে।’

নেতারা বলেন, ‘আলেম-ওলামা, মসজিদের ইমাম ও ধর্মপ্রিয় মুসল্লীরা ক্ষমতার ভাগাভাগি হতে চায় না। রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধার ধার ধারে না। তারা ইসলাম নিয়ে মুসলমান হিসেবে বেঁচে থাকতে চায়। কোনো নাস্তিক-কুলাঙ্গার যদি মুসলমানদের ধর্মীয় রীতি-নীতি বিশ্বাসে আঘাত করতে চায় তবে তাদের কোনো প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। প্রয়োজনে সারাদেশের তৌহিদী জনতাকে সাথে নিয়ে প্রতি মহল্লায়-মহল্লায়, থানা-উপজেলা থেকে প্রতিরোধের দাবানল জ্বলে উঠবে।’

সোনালীনিউজ/এমএইউ