বঙ্গবন্ধু’র স্বপ্ন পূরণ করাই আমার লক্ষ্য

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ২১, ২০১৮, ০৫:১১ পিএম

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কবিগুরুর ভাষায় বলতে চাই, ‘এ মনিহার আমার নাহি সাজে। ’শনিবার (২১ জুলাই) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত গণসংবর্ধনায় তিনি এ কথা বলেন। 

শেখ হাসিনা বলেন, সংবর্ধনা আমার প্রয়োজন নেই। আমি জনগণের সেবক। আমি এই সংবর্ধনা বাংলার মানুষকে উৎসর্গ করলাম। জনগণের জন্য কাজ করতে এসেছি। জনগণ কতটুকু পেল সেটাই আমার কাছে বিবেচ্য বিষয়। এর বাইরে আমার আর কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বাংলার মানুষ যেন অন্ন পায়, বস্ত্র পায়, বাসস্থান ও শিক্ষা পায় সেটাই আমার স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন পূরণ করাই আমার লক্ষ্য।

মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের প্রাথমিক যোগ্যতা অর্জন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, গ্লোবাল উইমেন্স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড, কলকাতা থেকে ডি-লিট উপাধি পাওয়াসহ নানা সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ গণসংবর্ধনা দেয় আওয়ামী লীগ।

বিকেল ৪টা ৪২ মিনিটে ভাষণ দিতে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তিনি উদ্যানে গিয়ে পৌঁছান। শেখ হাসিনা মঞ্চে উঠতেই স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে ঐতিহাসিক উদ্যান। আধা ঘণ্টার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মানপত্র পাঠ করেন। এই মানপত্র তিনি প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

সকাল থেকেই ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসমাবেশ হতে থাকে। ছোট ছোট মিছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশে অবস্থান শুরু করে। বেলা দুইটায় সংবর্ধনার মূল অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেলা ১১টার পর থেকে মিছিল আসা শুরু হয়। পিকআপ নিয়ে মিছিল করে নেতা-কর্মীরা ঢুকে পড়েন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সকাল থেকে কোনো বাস ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কাঁটাবন দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সমাবেশে যেসব গাড়ি আসছে, সেগুলো পাঠিয়ে দেওয়া হয় মল চত্বরে। 

দুপুর সাড়ে ১২টার পর থেকেই সংবর্ধনাস্থলের আশপাশের প্রায় সব সড়কে ডাইভারশন দেওয়া হয়। বেলা একটার পর থেকে ভিআইপি রোড, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, পল্টন, মৎস্য ভবন এলাকাসহ আশপাশের এলাকায় যানজট দেখা দেয়।

সোনালীনিউজ/জেএ